বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে প্রেমিকের বিরুদ্ধে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই প্রেমিককে আটক করেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম মনোরাম পাল (২৪)। সে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের সুশেন পালের ছেলে। ধর্ষণের শিকার হওয়া শিক্ষার্থী বালিয়াডাঙ্গী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে থানার পার্শ্ববর্তী টিএন্ডটি অফিসের ভিতর থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবুল কাসেম জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্কুলছাত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, প্রতিদিনের মতই আমার মেয়ে সকালে প্রাইভেট পড়তে যায়। সকাল সাড়ে ৯টার সময় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে আমাকে একজন জানায়, আপনার মেয়েকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। খবর শুনে আমি বাড়ি থেকে প্রায় ২ ঘণ্টা খোঁজাখুজির পর বালিয়াডাঙ্গী থানার পার্শ্ববর্তী টিএন্ডটি অফিসে এসে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় তাকে উদ্ধার করি।
বালিয়াডাঙ্গী টিএন্ডটি অফিসের দায়িত্বে থাকা বাচান আলী জানায়, সকালে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে কাউকে কিছু না বলে অফিসের ভিতরে চলে আসে। আমি তাদের বেড়িয়ে যেতে বললে তারা একটি সমস্যায় পড়েছে বলে জানায়। এর মধ্যে পুলিশ এসে মেয়েটিকে ধরে নিয়ে যায় এবং ছেলেটি পালিয়ে যায়।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম সাজেদুল ইসলাম ও বালিয়াডাঙ্গী-রাণীশংকৈলের সার্কেল এসপি হাসিবুল আলম জানায়, পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রেমিককে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে প্রেমিক।
সার্কেল এসপি হাসিবুল আলম আরও জানায়, প্রেমিক-প্রেমিকা বালিয়াডাঙ্গীর বাইরে পার্শ্ববর্তী একটি গ্রামে গিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পরে স্কুলছাত্রীর রক্তক্ষরণ শুরু হলে বিপাকে পড়ে টিএন্ডটি অফিসে আসে এবং সেখান থেকে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
পিডিএসও/অপূর্ব