মারুফ আহমেদ, কুমিল্লা

  ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস

কুমিল্লা নগরের ৬টি এলাকায় শব্দদূষণের মাত্রা বেশি

আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবসে কুমিল্লা নগরীতে বুধবার সকালে সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা। ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

কুমিল্লা নগরের ৬টি এলাকায় শব্দদূষণের মাত্রা বেশি। এসব স্থানে ৮৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দ হচ্ছে। এর মধ্যে নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় ৮২ দশমিক ১ ডেসিবেল, পুলিশ লাইনে ৭৯ দশমিক ৩ ডেসিবেল, শাসনগাছা ৯২ দশমিক ২ ডেসিবেল, টমসমব্রিজে ৮৩ দশমিক ৮ ডেসিবেল, চকবাজারে ৮৬ দশমিক ৬ ডেসিবেল ও জাঙ্গালিয়া এলাকায় ৭৮ দশমিক ৭ ডেসিবেল শব্দাঙ্ক রেকর্ড করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কুমিল্লার উপপরিচালক মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব এ তথ্য দেন। জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।

সকাল ১০টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে একটি শোভাযাত্রা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফাহমিদা মোস্তফা। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা সদর সার্কেল কামরান হোসেন ও ডেপুটি সিভিল সার্জন নাজমুল আলম। শব্দ দূষণ রোধ ও সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন বক্তারা।


  • গাড়ি লাইসেন্স দেওয়ার সময় কোন হর্ণ ব্যবহার হচ্ছে দেখার দাবি
  • শব্দদূষণের ফলে তৈরি হচ্ছে মানুষের বহুমাত্রিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি

স্বাগত বক্তব্যে মোসাব্বের হোসেন রাজিব বলেন, ‘বাংলাদেশে তিন ধরণের দূষণ বেশি হয়। এগুলো হলো- পানি, বায়ু ও শব্দ। শব্দ দূষণের কারণে হৃদরোগসহ আরো অনেক রোগব্যাধি দেখা দেয়। শিশুর মেধা বিকাশেও বাধা দেয়। তাই আমারা শব্দ দূষণ রোধে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। শব্দ দূষণের মাত্রা কমাতে আমাদের পাশাপাশি সবাইকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।’

আলোচনা সভায় অন্য বক্তারা বলেন, শব্দ দূষণ মানবদেহে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। শব্দ মানবদেহের কান দিয়ে প্রবেশ করে মস্তিস্কে আঘঅত করে। ফলে মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা, বধির হয়ে পড়ে। যানবাহনের হর্ণ শব্দ দূষণের একটি অন্যতম মাধ্যম। বিআরটিএর উচিৎ একটা গাড়ি লাইসেন্স দেওয়া সময় তাতে কোন হর্ণ ব্যবহার করছে, সেটা দেখে লাইসেন্স দেওয়া।

বক্তারা আরো বলেন, শব্দদূষণের ফলে মানুষের বহুমাত্রিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়। এগুলো মধ্যে আছে মাথাব্যাথা, অনিদ্রা, কানে কম শোনা, আংশিক বা পুরোপুরি বধিরতা, মানসিক চাপ, হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ, ক্ষুধামন্দা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর জন্ম হওয়া। জনস্বাস্থ্য ও সাধারণ মানুষের জীবনমানের ওপর শব্দের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলো সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে, সেই সঙ্গে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এ কে এম আসাদুজ্জামান, জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লা জেলার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম, সাপ্তাহিক অভিবাদন সম্পাদক আবুল হাসানাত বাবুলসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি, নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুমিল্লা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close