নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি

  ২৫ মার্চ, ২০২৪

নন্দীগ্রামে কলেজে নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে বাড়ছে উত্তেজনা 

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

বগুড়ার নন্দীগ্রামে মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষসহ তিন পদে অর্ধকোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে স্থানীয়দের উত্তেজনা বাড়ছেই। ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটামের পরও শিক্ষা বিভাগ তদন্ত কমিটি বা শাস্তিমূলক হস্তক্ষেপ গ্রহণ না করায় গতকাল রবিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে পাঁচদিনের লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বিক্ষোভ, স্মারকলিপি, কলেজ অধ্যক্ষের অফিস ঘেরাও, কুশপুত্তলিকা দাহ, সড়ক অবরোধসহ মাসব্যাপী কঠোর আন্দোলনে নামছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও কলেজ সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে, গত ১১ মার্চ বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির দুর্নীতিগ্রস্ত সভাপতি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কামরুল হাসান সবুজ ও বিধি বহির্ভূতভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহবুবুর রশিদ তোতা মিয়ার অপসারণসহ শাস্তির দাবিতে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। একমাসের বেশি সময় ধরে দফায় দফায় বিক্ষোভ, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচির পরও জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে হস্তক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা।

গতকাল রবিবার নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে কলেজ এলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয়দের পক্ষে পাঁচ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন নন্দীগ্রাম পৌর ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান। এ সময় ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়নাল হক, স্থানীয় ফজলুর রহমান, দুলাল হোসেন, আজমীর হোসেন, ফারুক হোসেনসহ কলেজ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও অবৈধ অধ্যক্ষ কোন খুঁটির জোরে টিকে আছেন। লাগাতার কর্মসূচির পরও শিক্ষা বিভাগ রহস্যজনক কারণে হস্তক্ষেপ গ্রহণ করেনি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন স্থানীয়রা।

তাদের অভিযোগ, শিবগঞ্জ উপজেলার পীরব ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের বহিষ্কৃত শিক্ষক মাহবুবুর রশিদ তোতা মিয়াকে মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজে বিধি বহির্ভূতভাবে অধ্যক্ষ পদে গোপনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে নন্দীগ্রাম থানায় মামলা রয়েছে। মাহবুবুর রশিদ কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের কারণে পীরব ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ থেকে সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় সব তথ্য গোপন রেখে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পেয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।

মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি কামরুল হাসান সবুজ বলেন, নিয়ম মেনেই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। অর্ধকোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

পিডিএস/জেডকে

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বগুড়া,নন্দীগ্রাম,কলেজ,নিয়োগ,উত্তেজনা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close