কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

  ২৪ মার্চ, ২০২৪

বাড়তি সময়ে শোলার ফুলের উপার্জনে চলে অর্ধশত পরিবার

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নরদহী গ্রামের প্রায় অর্ধশত নারী গৃহস্থলীর কাজ করার পর বাড়তি কাজ হিসাবে বেছে নিয়েছেন শোলা দিয়ে ফুল তৈরির কাজ। ওই গ্রামে প্রায় ২০ বছর আগে তোফায়েল আহমেদ নিজ উদ্যোগে শুরু করেন শোলা দিয়ে ফুল তৈরির কাজ।

বর্তমানে তার বাড়িতে প্রায় অর্ধশত নারী শোলা দিয়ে ফুল তৈরি করেন। এদিকে জেলা প্রশাসক এর উদ্যোগে কর্মজীবি নারীরা যেন বসে সুন্দরভাবে কাজ করতে পারে এজন্য একটি ‘ওমেন্স সেন্টার’ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, নারীদের তৈরি শোলার ফুল হাজার প্রতি এক হাজার ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার পর্যন্ত বিক্রয় হয়ে থাকে। শোলা দিয়ে নারীরা শাপলা, লিলি, চন্দ্র মল্লিকা, বেলিসহ হরেক রকম ফুল তৈরি করছেন। এসব উপকরন বানিয়ে নারীরা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন। শোলার ফুল গুলো ঢাকার নিউমার্কেট, মিরপুর, কলাবাগানসহ একাধিক স্থানে বিক্রয় হচ্ছে।

ফুল তৈরি করা সুমি আক্তার বলেন, সংসারের কাজের পর বাড়তি সময়ে শোলার ফুল তৈরি করি। এখান থেকে যা উপার্জন হয় তা সংসারের জন্য অনেকটা কাজে লাগে।

উদ্যোগতা তোফায়েল আহমেদ জানান, প্রায় ২০ বছর আগে শোলা এখানকার বিলে পাওয়া গেলেও এখন আর পাওয়া যায়না। এসব ফরিদপুর ও খুলনা থেকে সংগ্রহ করতে হয়। ওইখান থেকে শোলা ক্রয় করে আনতে অনেক খরচ হয়ে যায়। সব মিলে সঠিক দাম পাওয়া কষ্ট। এখানে যদি রাষ্ট্রীয় সহায়তা পাওয়া যেত তবে আমাদের এ কাজ আরো গতিশীল হতো।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত জাহান এ ব্যাপারে বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের উদ্যোগে কর্মজীবি নারীরা যেন বসে সুন্দরভাবে কাজ করতে পারে এজন্য ওখানে একটি ‘ওমেন্স সেন্টার’ করা হচ্ছে। যদিও বাজেট কম, তবুও তাদের জন্য ভাল কিছু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

পিডিএস/এস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ,শোলার ফুল,নরদহী গ্রাম
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close