বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি

  ১০ মার্চ, ২০২৪

সংবাদ সম্মেলন

বাগমারার মাড়িয়া কলেজে সভাপতির স্বাক্ষর জাল, নানা অনিয়মের অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

বাগমারার মাড়িয়া কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে নিয়োগ বাণিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ মন্ডল ও শিক্ষক প্রতিনিধি অধ্যাপক মাহমুদুজ্জামান মজিব এর সঙ্গে জরিত বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

রবিবার (১০ মার্চ) উপজেলার তাহেরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ শেখ। সংবাদ সম্মেলনে কলেজ পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি খোরশেদ আলমও উপস্থিত ছিলেন। তবে অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ মন্ডল এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ শেখ দাবি করেন, মাড়িয়া কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ ও শিক্ষক প্রতিনিধি অধ্যাপক মাহমুদুজ্জামান যোগসাজশ করে সভাপতি স্বাক্ষর জাল করে অফিস সহকারি নিয়োগ দিয়ে ২৮ লাখ টাকা আত্নসাৎ করেছেন। সম্প্রতি ভূয়া সনদের মাধ্যমে একজন বিপিএড শিক্ষক ও একজন লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ দিয়ে কলেজের সাবেক সভাপতি, অধ্যক্ষ ও শিক্ষক প্রতিনিধি প্রায় ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এছাড়া কলেজে বিভিন্ন পদে নিয়োগের প্রলোভন দিয়ে মাড়িয়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের কাছে থেকে ৪ লাখ টাকা, জামেলা বেগমের কাছে থেকে ৩ লাখ ও আব্দুল মাতিনের কাছে থেকে ৪ লাখ টাকাসহ আরো কয়েক যুবকের কাছে থেকে ৪-৫ লক্ষ করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। ওইসব পদে বেশি টাকা পাওয়ায় শরিফুল ইসলাম, রাজিয়া, নীলিমা, মৌসুমি ও একজন আয়া নিয়োগ দিয়ে প্রায় ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মচারীরা কোনো দিন কলেজে না এলেও অধ্যক্ষ ও শিক্ষক প্রতিনিধিকে ম্যানেজ করে নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করে থাকেন।

সংবাদ সম্মেলন আরো অভিযোগ করা হয়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত কলেজটিতে কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী নাই। বিশেষ করে পরিসংখ্যান, ইতিহাস, আরবি, সাচিবিকবিদ্যা, অর্থায়ন ও উৎপাদন, সমাজকল্যাণ এবং সমাজকর্ম এসব বিষয়ে কোনো ছাত্র-ছাত্রী নাই। বর্তমানে এই কলেজে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৮০ জন। অথচ খাতায় প্রায় ৩০০ জন ভূয়া ছাত্র-ছাত্রীর নাম লিখে রাখা হয়েছে। যেসব বিষয়ে শিক্ষার্থী নাই সেসব বিষয়ের শিক্ষকরা প্রতি মাসে মাত্র একদিন করে কলেজে এসে হাজিরা খাতায় পুরো মাসের স্বাক্ষর করে অবৈধভাবে বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন।

অপরদিকে কলেজ প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে যোগ্য লোক থাকা সত্বেও স্থানীয় সংসদ সদস্যের (এমপি) বিশেষ আদেশপত্র (ডিও লেটার) নিয়ে অযোগ্য ব্যক্তিকে সভাপতি করে দুর্নীতি করে আসছেন। এবারও কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ছয় মাস আগে কলেজ থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে গোবিন্দপাড়া গ্রামের জনৈক সুরাত আলীর নামে এমপির ডিও লেটার নেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তোলা অভিযোগগুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। তবে তাদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেন অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ মন্ডল। তিনি বলেন, অফিস সহকারি পদে এখনো কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রাজশাহী,বাগমারা
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close