ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

  ০৬ মার্চ, ২০২৪

পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁও-ঢাকা আন্তনগর ট্রেন

পঞ্চগড় এক্সপ্রেসে ১৮  বছরের পুরাতন বগি

পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁও-ঢাকা আন্তনগর ট্রেনে সংযুক্ত পুরাতন বগির সিট।-প্রতিদিনের সংবাদ

আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন ১২টি বগি নিয়ে পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁও-ঢাকা পথে সরাসরি চলাচল করে আসছে। এর মধ্যে পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁও আন্তনগর ট্রেন গুলোতে সংযুক্ত করা হয়েছে অনেকদিনের পুরাতন নড়বড়ে ও মেয়াদোত্তীর্ণ বগি। এ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানা গেছে, ঢাকা থেকে ৬৩৯ কিলোমিটারের দীর্ঘ রেল পথের তালিকায় ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার নাম রয়েছে। পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. নূরুল ইসলাম সুজন ২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নতুন সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। তার প্রচেষ্টায় পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁও-ঢাকার রেল রুটে তিনটি আন্তনগর ট্রেন চালু করেন তিনি। এর মধ্যে ২০১৯ এ পঞ্চগড় এক্সপ্রেস নামে আরও একটি ট্রেন পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁও-ঢাকা পথে সংযোজিত হয়।

যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ বিরতিহীন ট্রেন সার্ভিস পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ট্রেনটি বগি পরিবর্তন করে সংযোজন করা হয়েছে দীর্ঘদিনের পুরনো সিট। ট্রেনের সিটগুলো এতই সংকীর্ণ যে বসতে গেলে সিটের সঙ্গে হাঁটু আটকে যায়। যাত্রীদের অভিযোগ, নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে এভাবে পুরনো সিট গুলো দিয়ে যাত্রীদের হয়রানি করছে রেলওয়েকর্তৃপক্ষ। বিষয়টির দ্রুত সমাধান করা উচিত, নয়তো রেলপথ ভ্রমনে মুখ ফিরিয়ে নিবে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও রোড ষ্টেশন মাস্টার মো. আক্তারুল জানান, রেলওয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী এ সব পরিবর্তন হয়েছে। ঠাকুরগাঁও থেকে আগে যে রেলের বগি গুলো চলাচল করতো সেগুলোর বগি ছিল নতুন। কিন্তু বর্তমানে বর্তমানে যে বগি গুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো পুরাতন। গত বছর ২৭ ডিসেম্বর এ রেলের বগি গুলো পরিবর্তন করা হয়। বগিগুলোর সিট যদিও ছোট কিন্তু সিট সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

ওই পথের যাত্রী রাসেল ইসলাম বলেন, আমি রেলে প্রতিনিয়ত যাওয়া আশা করি। আগের যে সিটগুলো ছিল সেগুলো ভালো ছিল। বর্তমান সিটগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো খুব খারাপ চাপা চাপা পুরাতন। বর্তমানে যে বগিগুলো দেওয়া হয়েছে এগুলোর মান অনেক খারাপ। আমাদের এখান থেকে ঢাকার সবচেয়ে দূরত্ব বেশি। কিন্তু আমাদের নতুন সিট অন্য জায়গায় নিয়ে আমাদের পুরাতন বগি গুলো দেওয়া হয়েছে। আরেক যাত্রী রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা চাই আমাদের ভালো বগি গুলো দেওয়া হোক।

কামরুল হাসান নামে একজন টিটি বলেন, আগের সিট গুলো নতুন ছিলো, বর্তমানের সিট গুলো অনেক পুরাতন এবং এখানে নামাজ ঘর নাই। বগিগুলোর সিট গুলো অনেক চাপা।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম মো. আবদুল আউয়াল ভুইয়াঁ জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে যে বগিগুলো চলাচল করতো, সেগুলো ছিল চায়না বগি, সেগুলো বেশি নষ্ট হয়ে যেত। তাই এই বগি গুলোকে রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়েছে। অন্যদিকে রাজশাহীর যে বগি গুলা ছিলো সেগুলো ছিল ইন্ডিয়ান বগি। এগুলোর লং পথ পাড়ি দিলেও নষ্ট হয় না। সেইজন্য এটা পঞ্চগড় ঠাকুরগাঁওয়ে দেওয়া হয়েছে। যে বগি গুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো ১৮ বছরের পুরাতন বগি। এটা এখানে আসার পর এখানেও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী থেকে ঢাকা যেতে স্বল্প পথ সেই জন্য এখানে নিয়ে আসা হয়েছে।

পিডিএস/এস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পঞ্চগড় এক্সপ্রেস,,পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁও-ঢাকা,,পুরাতন নড়বড়ে বগি,
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close