পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি

  ০৫ মার্চ, ২০২৪

পাইকগাছা-দাকোপ 

বরাদ্দ না থাকায় হয়নি সংস্কার, আন্তঃজেলা খেয়া পারাপারে দুর্ভোগ

পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলার বরইতলা-মোজামনগর আন্তঃজেলা খেয়াঘাটের বরইতলা ঘাটের অংশবিশেষ।ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

জেলার পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলার সীমান্তবর্তী বরইতলা-মোজামনগর আন্তঃজেলা খেয়া পারাপারে দুর্ভোগে রয়েছেন দুই উপজেলার হাজারো বাসিন্দা। এ ঘাট থেকে প্রতিবছর অর্ধ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আয় করে সরকার। দ্রুত সংস্কার করার মাধ্যমে দুপারের ঘাট দুটি পারাপারের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

জানা যায়, আন্তঃজেলা খেয়াঘাটের মধ্যে উপজেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেয়াঘাট হচ্ছে বরইতলা-মোজামনগর খেয়াঘাট। এই ঘাটটি দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলার মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করেছে। বিশাল শিবসা নদীর পশ্চিম পাশে রয়েছে পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের বরইতলা খেয়াঘাট। অপরদিকে পূর্বপাশে রয়েছে দাকোপ উপজেলার মোজামনগর খেয়াঘাট। মোজামনগর খেয়াঘাটের কিছুটা আরসিসি এবং কিছুটা বাঁশের সাঁকো রয়েছে।

এ দিকে বরইতলা অংশের সম্পূর্ণ ঘাটটি বাঁশের সাকো দিয়ে তৈরি। শিবসার স্রোতে প্রতিবছর বাঁশের চার থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ভাটার সময় নৌকা অনেক নীচে নেমে যায়। ফলে ঝুঁকি নিয়ে মটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন পার করতে হয়। এ ছাড়া ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় নারীসহ শিশুদের।


  • দুটি ঘাট থেকে প্রতিবছর অর্ধ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় সরকারের
  • দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস্ত করেন ইউএনও

খেয়াঘাটের নিয়মিত যাত্রী চিত্তরঞ্জন মন্ডল বলেন, ‘জোয়ারের সময় খুব বেশি সমস্যা না হলেও ভাটার সময় পার হতে গেলে বুক ধড়ফড় করে।’

সেলিনা বেগম নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘একবার পার হলে আর মনে হয় না এ ঘাট পার হবো। এমন ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় বাড়িতে গিয়ে খেয়াঘাটের কথা মনে হলে শরীর শিউরে ওঠে।’

ইজারাদার ইসমাইল সানা বলেন, ‘ঘাটটি সংস্কারের জন্য একাধিকবার আবেদন করেছি। কিন্তু সংস্কারের কোন উদ্যোগ নাই।’

মাঝি সাইফুল্লাহ বলেন, প্রতিদিন এ ঘাট দিয়ে হাজারো মানুষ পার হয়। পার হওয়ার সময় তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আমরা চাই দ্রুত দুটি ঘাট সংস্কার করা হোক।

সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী জানান, এ ঘাটটি আন্তঃজেলা হওয়ায় জেলা প্রশাসন থেকে এটি ইজারা দেওয়া হয়। সরকার এখান থেকে প্রতিবছর অর্ধ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করে থাকে। অথচ এ ঘাটের উন্নয়নে কোন বরাদ্দ নাই।

এ বিষয়ে দু-একদিনের মধ্যেই খেয়াঘাটের উন্নয়ন কাজ করা হবে বলে আশ্বাস্ত করেছেন পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল-আমিন।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
খুলনা,পাইকগাছা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close