বরগুনার আমতলীতে নামাজ পড়ার জন্য ভোরে ঘুম থেকে তোলায় ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করেছে দুই ছাত্র। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আমতলী কওমিয়া হাফেজিয়া মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

ঘটনার পরে অভিযুক্ত দুই ছাত্র পালিয়ে যান। তারা হলেন মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র হাফেজ ইমাম হোসেন (১৯) ও হাফেজ জিহাদ হোসেন (২০)। তাদের মারধরে আহত শিক্ষক জামিল হোসেন রাফিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা।

জানা গেছে, আমতলী কওমিয়া হাফেজিয়া মাদরাসার সব শিক্ষার্থীকে সোমবার ভোরের দিকে ফজরের নামাজের জন্য ডাকেন শিক্ষক জামিল। ঘুম থেকে তোলায় মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ইমাম ও জিহাদ ক্ষুদ্ধ হয়ে শিক্ষক জামিলকে গাছের গুঁড়ি দিয়ে পিটিয়ে মাদরাসা থেকে পালিয়ে যায়। আঘাতে শিক্ষক জামিলের কানের ওপরের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।শিক্ষম জামিলকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (এমআরও) জায়েদ আলম তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরে পরামর্শ কদেন।

শিক্ষক জামিল হোসেন বলেন, ‘ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ইমাম হোসেন ও জিহাদ আমাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি ওই ছাত্রদের শাস্তি দাবি করছি।’

আমতলীর কওমিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ ওমর ফারুক জেহাদী বলেন, ‘ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকার কারণে শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফিকে দুই ছাত্র গাছের গুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।’

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘শিক্ষককে মারধরের বিষয়ে এখনো (১৩ ফেব্রুয়ারি) কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পিডিএস/আরডি