আগামী ১ থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি রাঙ্গামাটি জেলার চিং হ্লা মং চৌধুরী মারী স্টেডিয়ামে প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পার্বত্য তিন জেলার ১৬ সম্প্রদায়ের রসনাবিলাসসমৃদ্ধ ঐতিহ্যবাহী বাহারি খাবারসামগ্রী পরিবেশনসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পার্বত্য সংস্কৃতি প্রতিফলনের লক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী ফুড অ্যান্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল-২০২৪-এর আয়োজন করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজক। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাঙ্গামাটি-২৯৯ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এবং বিশেষ অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি। অনুষ্ঠানে পরিচালনা, তত্ত্বাবধান ও সভাপতিত্বে করবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা।

পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, ম্রো, তঞ্চগ্যা, বাঙ্গালি, অহমিয়া, খেয়াং, খুমি, গুর্খা, চাক, পাংখোয়া, বম, লুসাই, রাখাইন এবং সাঁওতালসহ ১৬টি সম্প্রদায় তাদের সুস্বাদু খাবারসামগ্রী নিয়ে ঐতিহ্যবাহী এ ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করবে।

রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এই তিন জেলা নিয়ে দেশের এক দশমাংশ অঞ্চলের অন্যতম পর্যটন এলাকা পার্বত্য চট্টগ্রাম। বাংলাদেশের ফেস্টিভাল অঞ্চল হিসেবে খ্যাত পার্বত্য চট্টগ্রাম। এ অঞ্চলের ঐতিহ্য ও ফেস্টিভ্যাল আয়োজনের মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসকারী সব সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী বাহারি খাবারের সমাহার, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ করবে। এ অঞ্চলে বসবাস করা সব সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী খাবারসহ কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটবে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি উন্নয়নে এক নতুন মাত্রা যোগ হবে। পাশাপাশি এ ফেস্টিভ্যালের মাধ্যমে দেশের পর্যটন সম্পদের সম্ভাবনা আগের চেয়ে অধিকতর প্রসারিত ও বিকশিত হবে। এ ছাড়া এ কার্যক্রমের মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসকারী সব সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ বন্ধন আরো সুদৃঢ় হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের এ বর্ণিল আয়োজনের গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে তুলে ধরার লক্ষ্যে গণমাধ্যম তথা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, ফেসবুক, টুইটার, লিংকডইন, ইউটিউবসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।