বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

  ২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

বিজয়নগরের ইছাপুরা

অন্যের জমিতে ‘ব্যক্তিগত’ রাস্তা, প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে নিজেদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য প্রায় ৫০ জনের কৃষি জমি কেটে রাস্তা তৈরি করছেন দুই জনপ্রতিনিধি। এই অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত দিয়েছেন জমি মালিকরা।

তবে উপজেলার খাদুরাইল এলাকায় একটি খাল উদ্ধার ও পাশে রাস্তা করতে গিয়ে ব্যক্তিগত জমিতে মাটি পড়ছে বলে জনিয়েছেন ইউএনও। ব্যক্তিগত রাস্তার তৈরির জন্য জমি কাটা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন এক জনপ্রতিনিধি।

অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিরা হলেন ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল হক বকুল ও তার ভাই জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল আক্তার। তারা ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণের জন্য অন্যের কৃষি জমিতে ‘অবৈধভাবে’ খাল কেটছে বলে প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে বিক্ষোভ শেষে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন স্থানীয় বাসিন্দা আছমা বেগম, আবদুর রহমান, জিয়াউর রহমান, গাজী মিয়া, সিরাজুল ইসলাম, মিনজু রহমানসহ অন্যরা।

উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ইছাপুরা ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক ও তার ভাই বাবুল আক্তারের বাড়িতে যাওয়ার জন্য রাস্তা বানাতে জোর করে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে মাটি ফেলছেন। এ বিষয়ে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।


  • ইছাপুরা ইউপির চেয়ারম্যান ও তার ভাই জেলা পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
  • খাল উদ্ধারের সুযোগে নিচ্ছেন দুই জনপ্রতিনিধি, তবে অভিযোগ অস্বীকার।

বক্তব্য থেকে জানা গেছে, খাদুরাইল গ্রামে খাল উদ্ধারের নামে কমপক্ষে ৫০ জন কৃষকের জমি মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। খাল কাটার মাটি না সরিয়ে পাশের জমি ভরাট করে রাস্তা বানানো হচ্ছে। এই রাস্তা নির্মাণ হলে আখাউড়া-চান্দুরা সড়ক থেকে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে যাওয়ার পথ কমে আসবে।

বক্তারা বলেন, খালটি উদ্ধারে তাদের আপত্তি নেই। এতে তারা খুশী। কিন্তু অকারণে রাস্তা করায় তারা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে ইছাপুরা ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বলেন, ‘উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খাল উদ্ধার করা হচ্ছে। আর কৃষকরা যাতে সহজে জমিতে যেতে পারেন সে জন্য রাস্তা করা হচ্ছে। খালের নকশা দেখেই কাজ করা হচ্ছে। তে কারো ব্যক্তিগত জমি পড়ে থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ তার বাড়িতে যাওয়ার একাধিক রাস্তা আছে বলে দাবি করেন তিনি।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া আফরোজ বলেন, ‘খাদুরাইল এলাকায় একটি খাল উদ্ধার করা হচ্ছে। তবে পাশে রাস্তা করতে গিয়ে ব্যক্তিগত জমি পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া,বিজয়নগর
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close