খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

  ২১ জানুয়ারি, ২০২৪

খাগড়াছড়ি

বিপুলসহ ৪ যুব নেতা হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও রামগড়ে আটক দুই যুবকের মুক্তির দাবি

ছবি: সংগৃহীত

ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সংগঠক অংগ্য মারমা অভিযোগ করে বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনী বিপুল চাকমাসহ চার যুব নেতায় জড়িতদের গ্রেপ্তার না করে বরং তাদের রক্ষা করতে নিরীহ লোকজনকে আটক করে তাদের হাতে অস্ত্র গুঁজে দিয়ে ইউপিডিএফ কর্মী সাজিয়ে জেলে পাঠানো হচ্ছে। রবিবার (২১ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি এই অভিযোগ করেন।

ঘটনার ৪০ দিন পরও গ্রেপ্তার না করায় জেলা ইউনিটের সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, ‘খুনীরা প্রকাশ্যে তাদের পানছড়ির মানিক্যাপাড়া, ভাইবোন ছড়ার দেওয়ানপাড়া ও খাগড়াছড়ি শহরের তেঁতুলতলার আস্তানায় অবস্থান ও ঘোরা-ফেরা করছে। কিন্তু তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। তিনি দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অন্যথায় পার্টি আরো কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলেও জানান তিনি।

জেলা ইউনিটের সংগঠক অংগ্য মারমা আরো বলেন, ‘গত বছরের ১১ ডিসেম্বরের হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দেওয়ার দাবিতে গণআন্দোলন গড়ে ওঠে। কিন্তু তা ভিন্নখাতে ফেরানোর লক্ষ্যে দুই দিনে নিরপত্তা বাহিনী শনিবার (২০ জানুয়ারি) জেলার রামগড় উপজেলার পাতাছড়া থেকে শান্ত ত্রিপুরা (২২) নামে এক নিরীহ যুবককে ও রবিবার (২১ জানুয়ারি) লক্ষ্মীছড়ি বাজার থেকে অংসাহ্লা মারমা (২১) নামে হাট-হাজারী ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্রকে আটক করেছে।

পরে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে মাটিরাঙ্গার মাইরুংপাড়ার বাসিন্দা শান্ত ত্রিপুরার কাছে থেকে ইউপিডিএফ কর্মী বলে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় ও পরে হাতে একটি দেশীয় অস্ত্র গুঁজে দিয়ে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করে তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

অন্য দিকে, লক্ষ্মছড়ি সদর ইউনিয়নে পূর্বডেবাতলির বাসিন্দা অংসাহ্লা মারমা পড়া লেখার পাশাপাশি কাঁচা তরিতরকারীর ব্যবসা করেন বলে অংগ্য মারমা জানান। তিনি বলেন, রবিবার সকালে লক্ষ্মীছড়ি বাজারে মালামাল বিক্রির জন্য গেলে সেনাবাহিনীর মদদপুষ্ট ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেন এবং অবিলম্বে আটক দুই যুবককে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
খাগড়াছড়ি,ইউপিডিএফ
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close