রকিবুল হাসান বিশ্বাস, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ)

  ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

গভীর রাতে ‘সন্দেহজনক’ ঘুরাঘুরি

সিংগাইরে পুলিশ সদস্যসহ আটক ৫ মামলা একজনের বিরুদ্ধে

আরিফুল ইসলাম । ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে গভীররাতে মাইক্রোবাসে ঘুরাফেরার সময় সন্দেহভাজন হিসেবে এক পুলিশ সদস্যসহ ৫ জনকে আটক করে উপজেলার শান্তিপুর (বাঘুলি) পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। এ ঘটনায় বুধবার (১৭ জানুয়ারি) প্রতারণার অভিযোগে আরিফুল ইসলাম নামে একজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হলেও আগেরদিনই বাকি চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

এর আগে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাত ৪টার দিকে উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নে অবস্থিত শান্তিপুর (বাঘুলি) ফাঁড়ি এলাকায় পাঁচজনকে আটক করা হয়। এতে পুলিশের করা মামলার আসামি মো. আরিফুল ইসলাম নরসিংদীর শিবপুর থানার বাঘাব এলাকার বাসিন্দা। আটকের সময় তার সঙ্গে থাকা ও পরে ছেড়ে দেওয়া পুলিশ সদস্য হলেন ঢাকা মেট্রোপলিট্রন পুলিশের (ডিএমপি) মোটরযান শাখার সদস্য মোবারক। বাকিরা হলেন নরসিংদীর নাঈম ও স্বপন। আটক আরেকজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

জানা গেছে, সোমবার রাত ৪টার দিকে উপজেলার শান্তিপুর বাজারে কম্পিউটার দোকানের সামনে থেকে পাঁচজনকে আটক করেন শান্তিপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম। পর দিন মঙ্গলবার দুপুরে আটক ব্যক্তিদের সিংগাইর থানায় হাজির করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে পুলিশের ভূয়া আইডি কার্ড, এক জোড়া হাতকড়া, পুলিশের ব্যবহৃত একটি ট্র্যাকস্যুট, এক জোড়া ক্যানভাস সু এবং একটি মোবাইল ফোন জব্দ করেন পুলিশ। পরে প্রতারণামূলক উদ্দেশ্যে পুলিশের পোশাক পরিধান ও প্রতীক ধারণ করার অভিযোগে আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেন এসআই আব্দুস সালাম।


  • সিংগাইরে সন্দেহভাজন হিসেবে ডিএমপির এক সদস্যসহ চারজনকে আটক করে ফাঁড়ির সদস্য।
  • পুলিশ সদস্যকে কর্মস্থলে পৌঁছে ও বাকি তিনজনকে ‘জড়িত নন’ বলে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সিংগাইর থানা সূত্রে জানিয়েছে, সোমবার রাতে উপজেলার শান্তিপুর এলাকায় একটি মাইক্রোবাসে সন্দেহজনক ঘুরাঘুরির সময় শান্তিপুর ফাঁড়ির এসআই আব্দুস সালাম জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় আরিফুল ইসলাম নিজেকে পুলিশ পরিচয় দেন। তবে তার কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় অন্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেন এসআই সালাম। এর মধ্যে মোবারক একজন পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া আরিফুলকে আত্মীয় হিসেবে পরিচয় দেয় নাইম ও স্বপন। তাদের গাড়িসহ আটক করে সিংগাইর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে সিংগাইর থানা থেকে পুলিশ সদস্য মোবারকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে কর্মস্থলে পৌঁছে দেন এক এসআই। অপরদিকে ‘কোনো অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়’ উল্লেখ করে নাঈম, স্বপন ও আরেকজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

৫ জনকে আটকের কথা স্বীকার করে মামলার বাদী শান্তিপুর (বাঘুলী) তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আব্দুল সালাম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আপনি ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেন। তবে যাচাই-বাছাই করেই অন্য চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

জানতে চাইলে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘একজন ভূয়া পুলিশ, তাই তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাকি চারজন নির্দোষ বিধায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মানিকগঞ্জ,সিংগাইর
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close