কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

  ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪

কমলগঞ্জের কানিহাটি চা বাগান 

‘মদের’ বর্জ্য খেয়ে দুটি গরুর মৃত্যু, ঋণ শোধ নিয়ে দুশ্চিন্তা

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ একটি চা-বাগানে ‘দেশি মদের’ বর্জ্য খেয়ে দুটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার শমশেরনগর কানিহাটি চা-বাগানের অফিসটিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে রবিবার (১৪ জানুয়ারি) আরেকটি গরুর মৃত্যু হয়।

বাগানের ভেতর বিরন মৃধা নামে একজন তৈরি করা দেশীয় চোলাই মদের বর্জ্য খেয়ে গরু দুটির মৃত্যু হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত গরু মালিক মিনা রায়ের অভিযোগ। ঋণ করে কেনা গরু মৃত্যুর ঘটনায় আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন ওই চা-শ্রমিক। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিরন মৃধা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কানিহাটি চা বাগানের ভেতর বিরন মৃধা দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় চোলাই মদ উৎপাদন ও বিক্রয় করে আসছেন। প্রতিদিন শত শত লিটার মদ উৎপাদন ও বিক্রি করা হয়। স্থানীয় চা-শ্রমিকরা এসব মদ পান করার পাশাপাশি অন্যান্য বাগানেও বিক্রি করেন তিনি। নানা ধরণের বিষাক্ত পদার্থের মিশ্রণে দেশীয় মদ উৎপাদনের পর বর্জ্য যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হয়। বিরন মৃধার বাসা সংলগ্ন ড্রেনে ফেলে দেওয়ার মদের বর্জ্য আশপাশের গবাদি পশু খেয়ে ফেলে। এতে বিষক্রিয়ায় গত রবিবার ও গতকাল বুধবার একই বাগানের মিনা রায়ের দুটি গরু পেট ফুলে মারা যায়।

মিনা রায় অভিযোগ করেন, ‘গরুর মুখে মদের দুর্ঘন্ধ পাওয়া গেছে, গরু বমি করার পর মদের বর্জ্য দেখা গেছে। আমি নিজে ব্র্যাক থেকে ঋণ নিয়ে গরুগুলি কিনেছি। চোলাই মদের আবর্জনা খেয়ে দুই দিনে আমার দুটি গরু মারা গেছে। এতে লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে।’

কানিহাটি চা বাগানের মাদক বিক্রেতা হিসেবে বিরন মৃধার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় কয়েক দফা জেলহাজতেও ছিলেন তিনি। তবে গরু মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করে বিরন মৃধা বলেন, ‘আমি সতর্কতার সঙ্গে মদ তৈরি করি। বর্জ্যগুলো একটি গর্তে ফেলে দেই। আমার বর্জ্য খেয়ে গরু মারা যায়নি।’

শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শামীম আকনজি বলেন, ‘অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মৌলভীবাজার,কমলগঞ্জ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close