মেহেরপুর প্রতিনিধি

  ১১ জানুয়ারি, ২০২৪

জনপ্রশাসনের মন্ত্রী হলেন ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুরে উৎসবের বন্যা

জাতীর পূন্যভূমি মুজিবনগর খ্যাত মেহেরপুর-১ (মেহেরপুর-মুজিবনগর) আসনে প্রথমবার পূর্ণমন্ত্রী পাওয়ায় জেলার সব শ্রেণির মানুষ আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছে। ফরহাদ হোসেন এমপিকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রী করায় এই উৎসবের। স্বাধীনতার পূর্বেও এই আসনে কোনো মন্ত্রী ছিল না। এই আসনে ফরহাদ হোসেন ২০১৪ সালে প্রথম এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে ২য় মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ৭ জানুয়ারি ৩য় মেয়াদে এমপি নির্বাচিত হয়ে এবার পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী হওয়ায় জেলার সর্বত্র চলছে আনন্দ উল্লাস। স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এলাকায় একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পাওয়ায় মেহেরপুরে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতাসহ অভিনন্দন জানান।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বর্তমান সরকারের নবগঠিত মন্ত্রী পরিষদে ফরহাদ হোসেনকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রী করার খবরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাসহ সব শ্রেণির মানুষ আনন্দে মেতে উঠেন। এ সময় একজন আরেকজনকে মিষ্টি খাইয়ে দেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়সহ মেহেরপুর জেলা শহর থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ আওয়ামী সমর্থকদের মিষ্টি বিতরণের হিড়িক চলছে।

মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পল্লব ভট্টাচার্য বলেন, রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান ফরহাদ হোসেন জনপ্রশাসন পূর্ণমন্ত্রী হওয়ায় মেহেরপুর জেলাবাসী গর্বিত। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন মেহেরপুরের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এবার পূর্ণ মন্ত্রী হওয়ায় মেহেরপুর দেশের মধ্যে একটি মডেল জেলায় রূপান্তর সম্ভব হবে।

ফরহাদ হোসেন পূর্ণমন্ত্রী হওয়াতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহা. আবদুস সালাম এক প্রতিক্রিয়াতে বলেন, মেহেরপুরের কৃতি সন্তান পরিচ্ছন্ন রাজনীতির ধারক-বাহক ফরহাদ হোসেনকে মন্ত্রিপরিষদের জনপ্রশাসন মন্ত্রী করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। মেহেরপুরের মানুষ স্বাধীনতার ৫২ বছরে এই প্রথম পূর্ণমন্ত্রী পাওয়ায় আমরা গর্বিত।

মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের পিতা মরহুম মোহাম্মদ সহিউদ্দীন বিশ্বাস মেহেরপুরের রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। তিনি তৎকালীন কুস্টিয়া-৫ ও মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তিনি ২০২২ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি ১৯৫৮ সালে মেহেরপুর পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান। সহিউদ্দীন ১৯৬৬ সালে ছয়দফা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পরিষদ সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশ সরকারের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়ীত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে বাকশাল সরকারে মেহেরপুরের গভর্নর ছিলেন সহিউদ্দীন বিশ্বাস। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন কুস্টিয়া-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্মিলিত বিরোধী দলের হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মেহেরপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মোহাম্মদ সহিউদ্দীন বিশ্বাস ১৯৯০ সালের ২১ মার্চ প্রয়াত হন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
উৎসবের বন্যা,মেহেরপুর,জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close