সেলিম রানা, ফুলপুর (ময়মনসিংহ)

  ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

ভোগান্তির ১৬ বছর

ফুলপুর উপজেলার গ্রামবাসীর তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার প্রায় ষোলো বছর ধরে গ্রামবাসীর তৈরি কাঠের সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছেন ১০ গ্রামের মানুষ। উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়নের ছোট শুনই ঘাটপাড়-সংলগ্ন খড়িয়া নদীর উপর নির্মিত এই সাঁকো দিয়ে পারাপারে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকার জনসাধারণ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় ষোলো বছর আগে ভাইটকান্দি ইউনিয়নের ছোটশুনই ঘাটপাড় নামক জায়গায় খড়িয়া নদীর উপর স্থানীয় উদ্যোগে নির্মিত হয় প্রায় ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য কাঠের সাঁকো। এরপর থেকে এই সাঁকো পাড়ি দিয়েই চলেন পার্শ্ববর্তী ১০ গ্রামের মানুষ। এছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজসহ কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এই সাঁকো দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে।

ছোট শুনই গ্রামের আলাল উদ্দিন বলেন, এখানে একটি সেতু নির্মাণ না হওয়ায় এলাকার লোকজন ফুলপুর উপজেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারছে না। এজন্য তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষিপণ্য শহরে বাজারজাত করতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। কৃষকরা তাদের পণ্যের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া এই নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে পারাপারে রয়েছে বেশ ঝুঁকি। গত বছর স্কুলে যাওয়ার পথে দুই ছাত্রী সাঁকোর পাটাতনের ফাঁকে আটকা পড়ে আহত হয়।

ভাইটকান্দি ইউনিয়নের রঘুরামপুর গ্রামের ফজলুল হক বলেন, এখানে কাঠের সাঁকো তৈরির আগে জনসাধারণ খেয়া নৌকা দিয়ে পারাপার করতো। পরবর্তীতে জনগণের উদ্যোগে বাঁশের ও কাঠের সাঁকো নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করলেও কোনো কর্তৃপক্ষই সেতু নির্মাণের পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

একই গ্রামের মঞ্জুরুল হক বলেন, তিন বছর আগে বিভিন্ন সময়ে এই সাঁকো ভেঙে সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল নদী পড়ে গিয়ে লোকজন আহত হয়।

এ বিষয়ে ভাইটকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য উপর মহলে ডিওলেটারসহ আবেদন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ফুলপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশীষ কর্মকারের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেতুটি নির্মাণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে।

পিডিএস/মীর

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কাঠের সাঁকো,ভোগান্তি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close