সানোয়ার হোসেন, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)

  ০৪ অক্টোবর, ২০২২

মির্জাপুরে বেড়েছে ‘চোখ ওঠা’ রোগ

প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুই সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করেই বেড়েছে চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব। এই রোগে শিশুদের বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। তারা সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। সংক্রমিতরা বেশিরভাগই বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ দেখা দেয়ায় উপজেলার বিভিন্ন ওষুধের দোকানে চোখের ড্রপের চাহিদা বেড়েছে। মির্জাপুর পৌর সদরের হক সুপার মার্কেটের ফার্মেসি মালিকরা জানান, কয়েকদিন ধরে ফার্মেসিতে প্রচুর চোখ ওঠা রোগী ভিড় করছেন। আক্রান্তের অধিকাংশই ড্রপ নিতে আসছেন। জটিল কোনো রোগী দেখলে ও কোনো শিশু আক্রান্ত হলে তাদের চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন তারা। উপজেলার বহুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আলীম সিকদার জানান, গত সপ্তাহে তার মেয়ের চোখ ওঠা রোগ হয়েছে। এরপর ২-৩ দিন পর তিনি নিজেও এ রোগে আক্রান্ত হন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা জানান, প্রতিদিনই চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন। উপজেলা সদর ছাড়াও গ্রাম এলাকায় বাড়ছে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিন গড়ে প্রায় অর্ধশতাধিক চোখ রোগী হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর আগে এই সংখ্যা ছিলো দৈনিক ৪-৫ জন।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল ইসলাম বলেন, চোখ ওঠা একটি ভাইরাসজনিত রোগ। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। যেহেতু রোগটি ছোঁয়াচে তাই করোনায় যে রকম স্বাস্থ্যবিধি ঠিক অনেকটাই ওই রকমই মানতে হয়। তবে ড্রপ ব্যবহারের আগে এর মান ও মেয়াদ সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসাসেবা নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়াও সবাইকে সতর্কতা থাকার আহ্বান জানান এই কর্মকর্তা।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রোগ,মির্জাপুর,চোখ ওঠা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close