সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

  ১৯ জুন, ২০২২

সোনাইমুড়ীতে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গলা ও হাত-পায়ের রগ কাটা এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের চার দিন পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। সোনাইমুড়ী-চাটখিল সার্কেল (এএসপি) সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ রবিবার (১৯) ভোরে উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের পিতাম্বরপুর গ্রামের একটি সবজিখেত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চুরি, মোবাইল ও ওড়না উদ্ধার করেছে।

ওই নারীর নাম জান্নাতুল ফেরদাউস ওরফে পাখি (৩০)। তিনি দেওটি ইউনিয়নের পিতাম্বরপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে থাকতেন। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর প্রায় চার বছর ধরে জান্নাতুল তার ছয় বছরের মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন।

আজ ভোরে আটক করা পরকীয়া প্রেমিক জীবন (২৬)-এর জবানবন্দির ভিত্তিতে উপজেলার পিতাম্বপুর গ্রামের মিন হাজী বাড়ির পাশে খেত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চুরি, মোবাইল ও ওড়না উদ্ধার করেন।

এ হত্যাকাণ্ডের পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাইমুড়ী থানার এসআই শাহ আলম দেওটি ইউনিয়নের বাসিন্দা নুর নবী, স্বপন ও সেনবাগ উপজেলার মনির ও আবু সুফিয়ানকে আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের পিতম্বপুর গ্রামের দিলসাদের পুত্র ও নিহত নারীর পরকীয়া প্রেমিক জীবনকে মোবাইল ট্রেকিং-এর মাধ্যমে আটক করা হয়। তার জবানবন্দির ভিত্তিতে সোনাইমুড়ী থানার এসআই শাহ আলম ও এএসপি সাইফুল ইসলাম পরকীয়া প্রেমিক জীবনকে নিয়ে ভোরে ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মালামাল উদ্ধার করেন। সোনাইমুড়ী থানার ওসি হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জান্নাতুল তার বড় বোনের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর রাত ৮টার পর থেকে জান্নাতুলের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান পায়নি। পরে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরের একটি একটি উঁচু সবজিখেতে গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকার খবর পান তারা। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, সেখানে তার বোনের মরদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
হত্যাকাণ্ড,সোনাইমুড়ী,মরদেহ উদ্ধার
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close