নওগাঁর নিয়ামতপুরে দেলোয়ার হোসেন (৩০) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১১ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের ঘুলকুড়ি গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত দেলোয়ার হোসেন ওই গ্রামের জিয়ার মন্ডলের ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে সকালের খাবার (রান্না) করা নিয়ে তার স্ত্রীর সাথে দেলোয়ার হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। সকালের রান্না দেরি করার কারণে অভিমান করে কাজে না গিয়ে ও খাবার না খেয়ে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে দরজা-জানালা বন্ধ করে দেয়। দেলোয়ারের স্ত্রী মনে করেছিল হয়তো রাগ করে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েছে। যার কারণে ভয়ে তিনিও রান্না হয়ে গেলেও স্বামীকে ডাকেননি। কিন্তু দুপুর হয়ে গেলেও দরজা না খোলায় এবং সাড়া শব্দ না পাওয়ায় দুপুর আড়াইটার দিকে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে দরজা ভেঙে দেখেন সিলিং ফ্যানের সাথে তার স্বামী ঝুলে আছে। এর পর পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বিকেল ৪টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

দেলোয়ারের স্ত্রী কমলা বলেন, সকালে রাজমিস্ত্রীর কাজে যাবে বলে খাবার রান্না করতে বলেন। খাবার রান্না করতে একটু দেরি হওয়ায় রাগ করে ঘরে প্রবেশ করেন। কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে প্রবেশ করে দেখি গলায় ফাঁস দিয়ে আমার স্বামী ঝুলে আছেন। খাবার রান্না নিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে তা আমি চিন্তা করতে পারিনি।

নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল ঘটনা জানা যাবে। এ বিষয়ে নিহতের বড় ভাই আবদুল জব্বার থানায় একটি অপমৃত্যু দায়ের করেছেন।