গাজীপুর প্রতিনিধি
ঢাবি অধ্যাপক হত্যা : গ্রেপ্তার আনোয়ারুল ৩ দিনের রিমান্ডে
ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের (ঢাবি)’র অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাইদা গাফফার (সাইদা খালেক) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আনোয়াল ইসলামের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার বিকালে গাজীপুর মহানগর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মেহেদী পাভেল সুইট শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের (জিএমপি)’র উপ-পুলিশ কমিশনার জাকির হাসান জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাশিমপুর থানা পুলিশ ১০দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আনোয়ারুল ইসলামকে আদালতে পাঠায়। মহানগর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানী শেষে বিচারক তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জর করেছেন।
নিহত সাইদা গাফফার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনিস্টিটিউটের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ২০১৬ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি মাননীয় তার প্রায়ত স্বামী কিবরিয়া উল খালেকও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃত আনোয়ারুল ইসলাম (২৫) গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুর থানার বুর্জুগ জামালপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবে খোদা এবং এজাহার সূত্রে জানা গেছে, অধ্যাপক সাইদা গাফফার সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থানা এলাকার পানিশাইল এলাকার মোশারফ মৃধার বাসায় ভাড়া থেকে একই এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আবাসন প্রকল্পে তার মালিকানাধীন প্লটে নির্মাণাধীন বাড়ির কাজকর্ম দেখাশোনা করতেন।
গত ১১ জানুয়ারি থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না, মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। সম্ভব্য সকলস্থানে খোঁজাখুঁজির পর ১২ জানুয়ারি নিখোঁজের ঘটনায় অধ্যাপকের মেয়ে সাদিয়া আফরিন বাদী হয়ে কাশিমপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে সাইদা গাফফারের সন্ধানে তদন্তে নামে পুলিশ।
তদন্তের এক পর্যায়ে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সন্দেহজনকভাবে আনোয়ারুল ইসলামকে গাইবান্ধার তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। আনোয়ারুল ইসলাম নির্মানাধীন বাড়ির রাজ মিস্ত্রী।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আনোয়ারুলের দেয়া তথ্যে পানিশাইল এলাকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আবাসন প্রকল্পের একটি জঙ্গল (ঝোপ) থেকে অধ্যাপকের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সাউদ ইফখার বিন জহির বাদী হয়ে কাশিমপুর থানায় মামলা করেছেন।