তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ১১ জানুয়ারি, ২০২২

গাদাগাদি করে টিকাকেন্দ্রে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা, নেই স্বাস্থ্যবিধি

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

১২-১৮ বছরের শিক্ষার্থীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনার টিকার আওতায় আনতে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় শুরু হয়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের টিকাদান। গত ৮ জানুয়ারি উপজেলার তাড়াশ সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কার্যালয়ে দুটি বুথে টিকাদান শুরু হয়েছে, কিন্তু টিকাদানে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা ও ধীরগতির কারণে ঝুঁকির মুখে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, একই দিনে উপজেলার ৯টি বিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৪২ শিক্ষার্থীকে টিকা প্রয়োগের সিডিউল করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকালে টিকাদান শুরুর আগে থেকেই সেখানে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। একই সময়ে এতসংখ্যক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জড়ো হওয়ায় বড় ধরনের ভিড় জমে যায়। এমতাবস্থায় গাদাগাদি করে অবস্থান করছিল শিক্ষার্থীরা। এ সময় অধিকাংশের মুখে ছিল না মাস্ক। এতে করে টিকা নিতে এসে করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকিতে পড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এমন অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও পথচারীরা।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা জানান, একসঙ্গে এতসংখ্যক শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রে জড়ো করে টিকাদানের সিদ্ধান্ত সুবিবেচনা হয়নি। এখন উল্টো শিক্ষার্থীরাও আক্রান্তের ঝুঁকিতে পড়েছে। মানুষের দুর্ভোগ তো ছিলই। কর্তৃপক্ষ চাইলে আরো আগে থেকেই কেন্দ্রসংখ্যা বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের টিকাদানের পরিসর বাড়াতে পারতেন।

রায়হান আলী নামের এক অভিভাবক জানান, টিকা নিতে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া তার ছেলে সকাল সাড়ে আটটায় বাসা থেকে বের হয়ে এসেছে, কিন্তু যে অবস্থায় গাদাগাদি করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল, তাতে শারীরিকভাবেও তারা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। যদি স্কুলে স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকাদানের ব্যবস্থা করা হতো তবে সবচেয়ে ভালো হতো। মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হতো না। শিক্ষার্থীদেরও ঝুঁকিতে পড়তে হতো না।

অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। ফাইজারের এ টিকা প্রয়োগে বেশ কিছু নিয়ম-নীতি মানতে হয়। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কক্ষ ও জেনারেটর সুবিধা ছাড়া এই টিকা প্রয়োগ করা যায় না, কিন্ত কোন নিয়মনীতি মানছে না কর্তৃপক্ষ।

তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা: মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, আমি টিাকাদান কেন্দ্রে রয়েছি। এ বিষয়ে অফিসে গিয়ে সামনাসামনি বসে কথা বলবো।

তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: ফকির জাকির হোসেন বলেন, গাদাগাদি হওয়াটা অস্বাভাবিক, কিন্তু এর দায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের, আমার নয়। এছাড়া শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কক্ষ ও জেনারেটর সুবিধা ছাড়া এই টিকা প্রয়োগ করা যায় না। তারা যেভাবে দিচ্ছেন এতে এর দায় নিতে হবে তাদেরকেই।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সিরাজগঞ্জ,তাড়াশ,শিক্ষার্থী,টিকাকেন্দ্র,ভিড়
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close