চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ২২ নভেম্বর, ২০২১

ফসলি জমির মাটি দিয়ে তৈরি হচ্ছে ইট, চাষাবাদের ক্ষতি

সরকারি আইন অমান্য করে ফসলি জমির মাটি পোড়ানো হচ্ছে ইটভাটায়। নিয়ম নীতি না মেনেই জনবসতি ও ফসলি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ করা হচ্ছে। পুড়ছে কৃষকের স্বপ্ন, চাষাবাদে ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় সরকারি আনইকে তোয়াক্কা না করেই জনবসতি গ্রামের মাঝে ২ ও ৩ ফসলি জমিতে ইটাভাটা নির্মাণ করা হচ্ছে। সাধারণ কৃষককে নগদ টাকার লোভ দেখিয়ে সংগ্রহ করছে আবাদি জমির উপরি ভাগের (টপসয়েল) মাটি। দালালদের খপ্পরে কতিপয় জমির মালিক লোভে পড়ে ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছেন। এদিকে আইন থাকলেও প্রশাসন তা প্রয়োগ করছে না বলে জানান স্থানীয়রা।

ইট প্রস্তত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে ইট প্রস্তুত করার জন্য কৃষিজমি বা পাহাড় বা টিলা থেকে মাটি কেটে বা সংগ্রহ করে তা ইটের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে এই আইনের প্রয়োগ না থাকায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ইট তৈরির জন্য কৃষিজমির মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে।

এতে এক দিকে যেমন জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে, অন্য দিকে ট্রাক্ট্রর দিয়ে ইটভাটায় মাটি নেওয়ায় নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক। এলাকার সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শুধু তাই নয় জনবসতি ও ফসলি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ করায় এর প্রভাব ফসলের উপর পড়ার সাথে সাথে পড়ছে মানুষের ওপর।

উপজেলার ফকিরপাড়া এলাকার নজরুল, খরখড়িয়া জামেরতলের ফেরদৌসি, আ. জলিল, ব্যাপারী বাজার এলাকার নিত্যসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, ইটভাটায় ইট তৈরির জন্য মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে কৃষিজমি থেকে।

কৃষকরা জানান, পাশের জমির মালিকেরা গত বছর মাটি বিক্রি করায় তাদের জমি নিচু হয়ে গেছে। তাই সমস্যা হওয়ায় তারাও মাটি বিক্রি করছেন। আমাদের পাশের জমির মালিক মাটি বিক্রি করছেন এতে করে প্রায় দেড় ফিট নিচু হওয়ায় এবারে ফসল ফলানো নিয়ে আমরা চিন্তায় আছি।

ভাটার মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, যে গাড়িগুলো মাটিবালি সরবরাহ করে তাদের অবশ্যই মাটিবালি ঢেকে নিতে হবে। যাতে পরিবেশ নষ্ট না হয়।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চাষাবাদের ক্ষতি,ফসলি জমির মাটি,ইট
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close