আব্দুস শুকুর, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার)

  ০৩ এপ্রিল, ২০২১

শ্রীমঙ্গল চা গবেষণা ইনস্টিটিউটে ‘নাগলিঙ্গম’

নাগলিঙ্গম। বিরল প্রজাতির ওষুধি গুণাগুণ সম্পন্ন এক ধরনের উদ্ভিদ। সচরাচর দেখা না মিললেও শ্রীমঙ্গলের বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনষ্টিটিউট (বিটিআরআই) ক্যাম্পাসে এই বিরল বৃক্ষটি দেখা যায়। গাছটিতে বছরের ১২মাস ফুল-ফল থাকলেও মূলত এখন তার ভরা মৌসুম।

বিটিআরআই এর উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এন্টিবায়োটিক, এন্টিফাঙ্গাল ও এন্টিসেপ্টিক আর ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে এই উদ্ভিদে। তবে দক্ষিণ আমেরিকায় এ উদ্ভিদটির উৎপত্তিস্থল। এ বৃক্ষটি সাধারণত ৮৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। ফুল কমলা ও রক্তবর্ণ রঙের হয়। ফলগুলো বেল আকৃতির ও চকোলেট কালার হয়ে থাকে। এখন বিটিআরআইয়ের নাগলিঙ্গাম গাছটিতে ফুল ও ফল দুটিই শোভা পাচ্ছে। সেখানে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদেরও আকর্ষণ থাকে গাছটিতে। একটি ফলের ভেতর ২শ' থেকে ৩শ' বীজ থাকে। ফ্রান্সের উদ্ভিদ বিজ্ঞানী জে. এফ. আবলেট ১৭৫৫ খ্রিষ্টাব্দে এটির নামকরণ করেন।

বিটিআরআই সূত্র আরও জানায়, দক্ষিণ আমেরিকাতে এ গাছের পাতা ও ছালের নির্যাস চর্মরোগ ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়। এর কচি পাতা দাঁতের ক্ষয়রোধও করে। এর ফলের নির্যাস শরীরে ব্যবহার করলে পোকামাকড় ও মশার আক্রমন থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যায়।

১৯৯৩ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চা বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার আবদুল্লাহ আল হেলাল বিটিআরআই ক্যাম্পাসের ভেতরে এ নাগলিঙ্গম গাছের চারাটি রোপণ করেছিলেন। গাছটি পরিচর্যায় কোনরকম কার্পণ্যতা করেন না এখানকার কর্মকর্তারা।

পিডিএসও/এসএম শামীম

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
শ্রীমঙ্গল,চা গবেষণা ইনস্টিটিউট
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close