প্রেমের টানে কাঁটাতারের বাঁধা অতিক্রম করে বাংলাদেশে এসেছেন এক ভারতীয় তরুণী। মঞ্জুরা বেগম (২০) আসাম প্রদেশের কামরুক জেলার চাংসারি থানার টাপার পাথার গ্রামের মুগুর আলির মেয়ে।

জানা গেছে, ৫ বছর আগে মামলায় আসামি হয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসামে যান সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের উত্তর কলাউড়া গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র আবদুস সাত্তার (২৭)। সেখানে তার সঙ্গে পরিচয় হয় মঞ্জুরার। তাদের মাঝে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সাত্তার দেশে ফিরে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় চলে তাদের প্রেম। দীর্ঘ ৫ বছর পর প্রেমের টানে মঞ্জুরা ছুটে এসেছেন বাংলাদেশে।

স্থানীয়রা জানান, আবদুস সাত্তার ৫ বছর আগে তার এক বন্ধুকে প্রেমে সহযোগিতা করায় সেই সংক্রান্ত মামলায় আসামি হন। ওই মামলার পর তিনি পালিয়ে যান আসামে। সেখানে প্রায় বছর খানেক বসবাস করায় মঞ্জুরার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। বছর খানেক পরে সাত্তার চলে আসেন বাংলাদেশে।

আরও পড়ুন : শ্বশুরের মৃত্যুর পর পুত্রবধূর আত্মহত্যা

দেশে আসার পর তিনি বাহরাইনে চলে যান। সেখানে আছেন প্রায় ৩ বছর। এরমধ্যে দুইজনের প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকে। ইদানিং মঞ্জুরার বিয়ের জন্য কয়েক জায়গা থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসে। এ বিষয়ে মঞ্জুরা সাত্তারকে জানান। পরে সাত্তার তার ঠিকানা দিলে মঙ্গলবার সকালে ঠিকানা অনুযায়ী সুনামগঞ্জে আসেন ওই তরুণী।

সাত্তারের ছোট ভাই ইমরান সীমান্ত থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে মঞ্জুরার সম্মতিতে মোবাইলে বাহরাইনে অবস্থানরত সাত্তারের সঙ্গে বিয়ে হয়। তবে বিনা পাসপোর্টে বাংলাদেশে প্রবেশ করায় বিজিবি তাকে আটক করে দোয়ারা থানায় মামলা করার পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজির আলম বলেন, বিজিবি মামলা দায়ের করেছে। মামলা অনুযায়ী আমরা তাকে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করেছি।

পিডিএসও/হেলাল