হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

  ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

হাজীগঞ্জে স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন ইউএনও

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বৈশাখী বড়ুয়া। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের টঙ্গীরপাড়-নোয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় বরযাত্রীসহ মেহমানদের জন্য রান্নাকৃত খাবার স্থানীয় লাওকরা হযরত আমানত শাহ ও শাহেনশাহ (রহ.) হাফিজিয়া মাদরাসায় বিতরণ করা হয়। বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পাওয়া ছাত্রী ইছাপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে বরযাত্রী আসার আগেই বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন ইউএনও বৈশাখী বড়ুয়া। তিনি মেয়েটির শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাইলে সম্প্রতি নেয়া নতুন একটি জন্মনিবন্ধন দেখান তার আত্মীয়-স্বজনেরা।

পরে ছাত্রীর বাবা-মা বাড়িতে উপস্থিত নেই বলে তারা (আত্মীয়-স্বজন) শিক্ষাগত যোগ্যতার কাগজপত্র দিচ্ছি বলে কালক্ষেপন করতে থাকেন। এতে প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় বিয়ে বাড়িতে অবস্থান করেন ইউএনও।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে ছাত্রীর বাবা দোষ স্বীকার করেন এবং ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে না দেয়ার অঙ্গীকার করে মুচলেকা দেন তিনি।

এর আগে বিয়ের খাবার স্থানীয় মাদরাসায় এবং মেয়ের বাবাকে নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ইউএনও বৈশাখী বড়ুয়া। এবং মেয়েটির পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনসহ উপস্থিত লোকজনকে বাল্যবিবাহের কুফল ও বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন বিষয়ে অবহিত করেন তিনি।

এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জলিলুর রহমান মির্জা দুলাল, থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) রমিজ উদ্দিনসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা এবং জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
হাজীগঞ্জ,বাল্যবিয়ে,ইউএনও
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close