পীরগঞ্জ উপজেলায় কৃষকের গম নিয়ে প্রশাসনের রহস্যজনক লুকোচুরি ও গোপন লটারির মাধ্যমে কৃষকদের বাদ দিয়ে পছন্দের ব্যক্তিদের তালিকা করায় বঞ্চিত কৃষকদের চাপের মুখে বন্ধ হয়ে গেছে সরকারি গম সংগ্রহ অভিযান।

জানা যায়, চলতি গম ক্রয় মৌসুমের শেষ সময়ে কৃষকের ঘরে গম না থাকলেও খাদ্যবিভাগ লোক দেখানো লটারির মাধ্যমে ২০ মে বিকালে উপজেলা খাদ্যগুদামে গম সংগ্রহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডাব্লিউ এম রায়হান শাহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো.কশিরুল আলম, খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল মোমিন সরকার, ওসিএলএসডি মাহবুব হোসেন।

উদ্বোধনকালে ক্ষুব্ধ কৃষকরা বলেন, লটারিতে দুই নাম্বারি করা হয়েছে, লটারিতে কৃষকের নাম না দিয়ে সিরিযাল নাম্বার দিয়ে লটারি করা হয় এবং রাতারাতি সিরিয়াল নাম্বার বদলে নিজেদের পছন্দমত লোকজনদের নাম তালিকা তৈরি করা হয়। যে তালিকায় প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চিত হয়।

অন্যদিকে একই পরিবারের ৫/৭ জনের নাম তালিকায় দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কৃষকরা। তারা এই লটারি বাতিল করে নতুন করে লটারির দাবি করেন।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মে বিকালে ইউএনও অফিসে লটারি অনুষ্ঠিত হয়। এবার ২১ হাজার কৃষকের মধ্যে ১৬১৮ জন কৃষকের নামের সিরিয়ালে ওঠে। এই কৃষকদের নামে মাথাপছিু ১ মে.টন করে গম সংগ্রহ করা হবে।

তবে কৃষকদের চাপের মুখে সংগ্রহ কমিটি গম সংগ্রহ বন্ধ করে দিয়েছে। নতুন তালিকার মাধ্যমে কবে নাগাদ সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি খাদ্য নিয়ন্ত্রক। উদ্বোধনের পরপরই বন্ধ হয়ে যায় সংগ্রহ অভিযান।

পরে ক্ষুব্ধ কৃষকরা খাদ্যগুদামে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। সংশ্লিষ্টরা স্থানীয়ভাবে বিষয়টির সুরাহা করার চেষ্টা করতে ব্যর্থ হলে এবং বিভিন্ন পত্রিকায় অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় গম সংগ্রহ অভিযান।

পিডিএসও/তাজ