কক্সবাজার প্রতিনিধি
মিয়ানমার থেকে গরু আমদানি
প্রায় এক লাখ গরু-মহিষ আমদানির কথা পাকাপোক্ত করেছেন ব্যবসায়ীরা
কোরবানির ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন ট্রলারবোঝাই গরু আসছে মিয়ানমার থেকে। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ করিডরে আমদানি হয়ে দেশে ঢুকছে এসব গরু। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের উত্তর অঞ্চলে বিভিন্ন বাজারে ওসব কোরবানির পশু সরবরাহ করা হবে বলে জানা গেছে। তবে অতিরিক্ত গরু আমদানি হলে ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন দেশি খামারিরা।
গরু আমদানিকারকরা জানান, দেশে গৃহপালিত গরুর চেয়ে মিয়ানমারের গরুগুলো সাইজে লম্বা। কিনতে দামেও সস্তা পাওয়া যায়। একাধিক আমদানিকারক জানান, সপ্তাহখানেকের মধ্যে মিয়ানমার থেকে অন্তত ৫০ হাজারটি গবাদি পশু আমদানি হয়ে দেশে আসছে। প্রায় এক লাখ গরু-মহিষ আমদানির টার্গেট নিয়ে এবারে ব্যবসায়ীরা মিয়ানমারের বেপারিদের সঙ্গে কথা পাকাপোক্ত করেছেন। পশু আমদানিকারকরা জানান, নদীতে টহলরত বিজিবি জওয়ানরা গবাদি পশু আমদানিতে সহযোগিতা দিচ্ছে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের কাস্টমস শুল্ক কর্মকর্তা এ কে এম মোশারফ হোসেন বলেন, গত অর্থবছরে তিন কোটি সাড়ে ৩৪ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন, পশু ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় প্রচুর পরিমাণ পশু আমদানিতে এটা সম্ভব হয়। করিডর প্রতিষ্ঠার ১৪ বছরে এটি সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়।
"