নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৭ অক্টোবর, ২০২১

অর্থ ফেরতের উপায় বের করা হচ্ছে

ই-কমার্স পেমেন্ট গেটওয়ের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী

বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ২১৪ কোটি টাকা গত ১ জুলাইয়ের পর থেকে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে আছে। এগুলো গ্রাহকদের ফেরত দেওয়ার উপায় বের করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তবে অর্থ ফেরত দিতে একটু সময় লাগবে বলেও জানান তিনি। গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ই-কমার্স নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি একটি বড় ইস্যু হয়ে গেছে। এটার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি দেখবে। নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সত্যিকার অর্থে জুলাই থেকে যাদের টাকা আটকে আছে সেগুলো যেন তাদের কাছে ফেরত যায়। এ বিষয়ে যেসব আইনি জটিলতা আছে, সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি, ব্যবস্থা নিচ্ছি। একটু সময় লাগবে। এসক্রো সার্ভিস অটোমেটেড হবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুনে এসক্রো সিস্টেম চালু করে। এ পদ্ধতিতে ক্রেতার টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে জমা থাকে। ক্রেতা যদি পণ্য হাতে পায় এবং পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানকে জানায় তাহলে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে অর্থ পরিশোধ করা হয়। আর পণ্য ডেলিভারি না হলে অর্থ পেমেন্ট গেটওয়েতে জমা থাকে।

বৈঠকে উপস্থিত থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি জানান, ৩০ জুন এসক্রো সার্ভিসের নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। ১ জুলাই থেকে যেসব ট্রানজেকশন হয়েছে, সেই ট্রানজেকশনের বিপরীতে টাকাগুলো ব্লক করা আছে। যেটা ডেলিভারি হয়নি, সেই টাকাটা পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে আছে। সুতরাং সেক্ষেত্রে কাস্টমার ও টাকার পরিমাণ আইডেন্টিফাইড। সুতরাং সেগুলো আমরা আইনি জটিলতা ঠিক করে সেগুলো ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করব।

সব ই-কমার্স ব্যবসায়ীকে ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, আইসিটি বিভাগ এসব করে দিলে তা বাস্তবায়ন করা হবে। যারা নিবন্ধন করবেন না, তারা ব্যবসা থেকে আউট হয়ে যাবেন। এ নিবন্ধন করতে কোনো খরচ নেই বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, আইনগতভাবে চেক করার জন্য সেন্ট্রাল লজিকস্টিক ট্যাকিং প্ল্যাটফরমের (সিএলটিপি) ব্যবস্থা করতে হবে। সেন্ট্রাল ম্যানেজমেন্ট কমপ্লেইন সিস্টেম, কোথাও কারো অভিযোগ থাকলে এখানে আসবে। আইসিটি বিভাগ আগামী তিন মাসের মধ্যে এসব করে দেবে। আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে তারা ফলোআপ দেবে।

যুবক ও ডেসটিনির গ্রাহকদের টাকা ফেরত পাওয়া প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যুবক ও ডেসটিনির স্থাবর সম্পত্তি আছে। সেই সম্পত্তি তারা নিয়ে যেতে পারেনি। কিছু ক্যাশ তারা নিয়ে গেছে। আইনি প্রক্রিয়ায় সে সম্পত্তি রিলিজ করা গেলে, সেটার দাম পাওয়া গেলে, আদালত নির্দেশ দিলে দেওয়া যেতে পারে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের অনেক প্রপার্টি বেদখল হয়ে আছে বলেও জানান মন্ত্রী।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close