নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৪ অক্টোবর, ২০১৮

গৃহনির্মাণ ঋণ বিতরণ

বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অংশগ্রহণে বেসিক ব্যাংক আগ্রহী

সরকারি চাকরিজীবীদের গৃহ নির্মাণ ঋণ বিতরণে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেসিক ব্যাংকও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানসম্প্রতি সরকারি চাকরিজীবীদের গৃহ নির্মান ঋণ বিতরনের জন্য বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনসহ (বিএইচবিএফসি) পাঁচটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানর সঙ্গে চুক্তি করেছে। সরল সুদে এই ঋণের পাঁচ শতাংশ সুদ পরিশোধ করবে সরকার এবং বাকি পাঁচ শতাংশ সুদ পরিশোধ করতে হবে ঋণ গ্রহিতাকে।

অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গৃহ নির্মাণ ঋণ বিতরণে বেসিক ব্যাংকের পক্ষথেকে ভারপ্রাপ্ত অর্থ সচিব আব্দুল রউফ তালুকদারের কাছে নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহম্মদ আউয়াল খান। বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন ছাড়াও গৃহ ঋণ নির্মান ঋণ বিতরনের জন্য অন্য যে চারটি সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে সেগুলো হল, সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক এবং রূপালী ব্যাংক।

ভারপ্রাপ্ত অর্থ সচিবকে লেখা বেসিক ব্যাংকের এমডি’র ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে অনলাইন ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক ও ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে দেশের মানুষের ব্যাংকিং চাহিদা পূরণ ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের তহবিলের বিশ্বস্ত রক্ষক হিসেবে কাজ করছে বেসিক ব্যাংক। গ্রাহক সেবা ও আর্থিক সামর্থের বিচারে সর্বোত্তম ব্যাংক হওয়ার সুদীর্ঘ ইতিহাসও রয়েছে। এটা শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তফসিলী ব্যাংক। তাই সরকারি চাকরিজীবীদের গৃহ নির্মাণে সরকার ঋণ দেওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছে তার বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অংশগ্রহণ করতে ব্যাংকটি আগ্রহী। এজন্য সরকারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইসহ সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে প্রস্তুত তারা।

এদিকে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত জুন পর্যন্ত ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১০৭ কোটি টাকা। ২০১৭-২০১৮ অর্থ বাজেটে ৯টি সরকারি ব্যাংকের মূলধন পুর্নগঠনে এক হাজার ৮৫০ কোটি টাকা ছাড় করা হয়। কিন্তু বেসিক ব্যাংকের জন্য কোনো অর্থ ছাড় করা হয়নি।

২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ওই ব্যাংক থেকে ঋণ জালিয়াতি করে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। টাকার অঙ্কে যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঋণ কেলেঙ্কারি। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে বলা হয়, ব্যাংকের তৎকালীন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সহায়তায় বেসিক ব্যাংককে বিরাট সংকটে ফেলেছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close