reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

শিরুপন বড়ুয়ার ‘রামু : ইতিহাস প্রেক্ষাপট জনশ্রুতি’

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বর্তমান রামু উপজেলার পূর্ব রাজারকুল গ্রামে বিমানঘাঁটি কিংবা রামু রামকোটের পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা টাকশাল আর আরাকানি সময়ে এই রামু কতটা গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ছিল, সেসব দুষ্প্রাপ্য ইতিহাস স্মৃতিরোমন্থন করার সুযোগ পাওয়া গেল। যেখানে এখন আমি বসে আছি, ঠিক এই জায়গায় শ-দুয়েক বছর আগে কারা ছিল, তা জানতেই রোমাঞ্চিত হয়ে উঠি।

তরুণ ইতিহাস গবেষক শিরু দার লেখা জাগতিক প্রকাশন থেকে বের হওয়া ১৬৭ পৃষ্ঠার বই ‘রামু : ইতিহাস-প্রেক্ষাপট-জনশ্রুতি’ থেকে জানা যাবে রামুকে ঘিরে জানা-অজানা জনশ্রুতি ও ইতিহাসের রেফারেন্সসহ সঠিক ব্যাখ্যা। বইটির মূল্য ৪০০ টাকা।

বইটি মূলত লেখকের বিভিন্ন সময় পত্রিকায় ও ডিজিটাল ম্যাগাজিনে লেখা প্রবন্ধের সংকলন। আমার সৌভাগ্য যে, জ্ঞানান্বেষণের ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে এই বইয়ের অধিকাংশ অধ্যায় প্রবন্ধ আকারে ছাপানোর সময় পড়ার সুযোগ হয়েছিল। যখন রামুকে ঘিরে অনেক প্রবন্ধ পত্রিকা এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে প্রকাশ পেল, অধিকাংশ পাঠকের দাবি ছিল- গুরুত্বপূর্ণ এসব ইতিহাস বইবন্দি করার।

৯টি অধ্যায়ে ১১টি প্রবন্ধে রামু ঠিক কতটা প্রাচীন? টলেমির মানচিত্রে রামু ও রামুর বিকৃত হওয়া রামকোটের সঠিক ইতিহাস পাওয়া গেছে বইটিতে। ধর্মীয় বেড়াজালে অতিরঞ্জিত ইতিহাসে ঢাকা পড়েছে রামকোটের আসল ইতিহাস। বর্তমান রামু উপজেলার রামকোটের আশপাশের পাহাড়ে আরাকানি সময় এবং তারও আগের টাকশাল সম্পর্কে তথ্যপ্রমাণসহ সম্ভাবনার কথাও বলেছেন লেখক।

কানা রাজার সুড়ঙ্গ, লাউয়ে জাদি ও হিরাম কক্সের সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে ‘রামু : ইতিহাস-জনশ্রুতি-প্রেক্ষাপট’ বইটি পড়তেই হবে।

* শিপ্ত বড়ুয়া

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close