যশোরের অভয়নগরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) একটি প্রায় আধা কিলোমিটার সড়ক বেহাল। উপজেলার আলীপুরে সড়কটি নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর দুই থেকে তিন ফুট পরিমান দেবে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সাধারণ জনগণের চলাচলে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। এদিকে চলতি বছরের জুন মাসের পর সংস্কার কাজ শুরু আশ্বাস উপজেলা প্রকৌশলীর।

অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, ওই সড়কটি আলীপুর আরএইচডি-সুন্দলী জিসি ভায়া রাজাপুর মোড়, রামসরা ধাম ও হরিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৭ দশমিক ৬২ কিলোমিটার। যা নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় চার কোটি টাকা। সড়কের এক প্রান্ত আলীপুর নামক স্থানে গিয়ে যশোর-খুলনা মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, যশোর-খুলনা মহাসড়কে সংযোগ হওয়া সড়কটি আলীপুর এলাকা থেকে প্রায় ৮০০ মিটার দূরত্বে বেহাল অবস্থা শুরু। যার আধা কিলোমিটার প্রায় ২ থেকে ৩ ফুট পরিমান ডেবে গেছে। সেই সড়কের দুই পাশে রয়েছে শতাধিক মাছের ঘের। এ সড়ক দিয়ে সুন্দলী ইউনিয়নের রামসরা গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রূপ সনাতন তীর্থ ধাম ও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের চলাচল।

আলীপুর গ্রামের মৎস্যঘের মালিক শহিদুল ইসলামসহ এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি ভেঙে দেবে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করেনি। এতে সড়ক দিয়ে যানবহন নিয়ে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন সড়ক দিয়ে চলাচল করা মৎস্য চাষিসহ সাধারণ মানুষ। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রাংশ। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করার দাবি জানান।

সুন্দলী ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল বলেন, শত শত মাছের ঘের, সনাতন ধর্মের তীর্থ ধাম, কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ চলাচলের একমাত্র সড়কটি ভেঙে গেছে। সড়কের দেবে যাওয়া অংশের দুই পাশে প্যালা সাইডিং করে দ্রুত সংস্কারকাজ শুরু করতে হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী নাজমুল হুদা জানান, ইতোমধ্যে ওই সড়কের দেবে যাওয়া অংশ পরিদর্শন করেছেন। চলতি বছরের জুন মাসের পর সংস্কার কাজ শুরু হবে। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে।