মঈনুস সুলতান

  ২৬ জুন, ২০২০

ভ্রমণ

মিসিসিপি নদী ও নিহত কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর

সন্ধ্যার পর ঘণ্টা দুয়েক ড্রাইভ করে চলে এসেছি মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের সীমান্তে। আমার বাহন সস্তায় কেনা অনেক বছরের পুরোনো জংধরা ডাটসান। এ গাড়িতে স্পিড তোলা মুশকিল, তাই আমি হাইওয়ে অ্যাভোয়েড করে পাড়াগাঁর ভেতর দিয়ে মফস্বলি ব্যাকরোড ধরে পথ চলছি। রাত ১১টার দিকে ট্রাফিকের তোড়জোড় কমে আসতেই সাহস করে উঠে পড়ি হাইওয়েতে। সঙ্গে সঙ্গে উইনশিল্ডে বাড়ি খায় ঝড়োহওয়ায় ছত্রখান হওয়া বৃষ্টির ছাঁট। তাই একটি রেস্ট এরিয়াতে গাড়ি পার্ক করে বৃষ্টি মাথায় উঠে আসি ছাউনিতে। জায়গাটি ছমছমে নির্জন। আরো ঘণ্টা কয়েক গাড়ি হাঁকাতে হবে, ক্লান্তি বিমোচন জরুরি, তাই সোডামেশিন থেকে কোক ও গ্রোনালা বার কিনি। প্রক্ষালনের প্রয়োজনে বাথরুমে যেতে হয় এক পাক। কিন্তু দুয়ারের সামনে আসতেই কেন জানি শিউরে ওঠি! কোথাও আতঙ্কের কোনো নিশানা নেই। আমেরিকার হাইওয়ের এসব রেস্ট এরিয়া মোটামুটি নিরাপদ। কিন্তু দুয়ারের চৌকাঠ অতিক্রম করতে সাহস হয় না। হাঁটু কাঁপতে থাকে ঠক ঠক করে। খুব ভেতরেÑ সত্তার গভীর গোপনে অদৃশ্য কে যেন আমাকে সাবধান করে দেয়। না, বাথরুমে আমি ঢুকি না। দৌড়ে ফিরে আসি গাড়িতে। ঝড়বৃষ্টির ভেতর হাইওয়ে র্যাম্পের দিকে গাড়ি ছোটাতে ছোটাতে যেন পিস্তলের আওয়াজ শুনি। তবে কী অ্যাকসেস ড্রাইভিংয়ের ক্লান্তিতে আমার নার্ভাস ব্রেকডাউন হচ্ছে? বজ্রপাতের শব্দকে গুলির আওয়াজ বলে ভুল করছি?

বেলা আটটা নাগাদ ব্রেকফাস্টের জন্য উঠে আসি একটি অজানা শপিং মলের সাত তলার ওপর খোলা ডেকে সাজানো রেস্তোরাঁয়। এ শপিং মলের কিছু দোকানপাট টোয়েন্টিফোর আওয়ার্স খোলা থাকে, তাই এখানকার পার্কিংলটে গাড়ি দাঁড় করিয়ে সিট ফেলে দিয়ে শেষ রাতে ঘণ্টা কয়েক ঘুমিয়ে নিতে অসুবিধা হয়নি। চেয়ারে খানিক আয়েশ করে বসতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বাঁকা হয়ে বয়ে চলা সুদীর্ঘ মিসিসিপি নদী। ২৩২০ মাইল লম্বা এ নদীর কথা এত শুনেছি যে, তাকে চাক্ষুষ করে রীতিমতো রোমাঞ্চিত বোধকরি। ঠিক তখনই রোস্তোরাঁর মিউজিক সিস্টেমে বেজে ওঠে কিংবদন্তির গায়ক খোদ পল রবসনের গলায় ১৯২৭ সালে গীত ‘ওল ম্যান রিভার’ সংগীতটি। আমি আবার বয়ে চলা মিসিসিপির দিকে তাকাই। মালবাহী বিশাল একটি বার্জ ঘোলাজল কেটে অতি ধীরে আগ বাড়ছে। আর কৃষ্ণাঙ্গ গায়ক পল রবসন গেয়ে চলছেনÑ ‘দেয়ারস্ অ্যান ওল-ম্যান কল্ড দি মিসিসিপি/দ্যাটস দে ওলম্যান আই ডু নট লাইক টু বি/হোয়াট ডাজ হি কেয়ার ইফ দ্য ওয়ার্ল্ডস গট ট্রাবোলস/হোয়াট ডাজ হি কেয়ার ইফ দ্য ল্যান্ড আর নট ফ্রি...।’ পল রবসন উদাত্ত কণ্ঠে গেয়ে যাচ্ছেন, ‘নিগার অল ওয়ার্ক হোয়াইল হোয়াইট ফোক প্লে...।’ শুনতে শুনতে কেন জানি মনে হচ্ছিল, এ সুরের সঙ্গে আমাদের লোকপ্রিয় গান ‘ও গঙ্গা তুমি বইছো কেন’-এর কোথায় যেন বেশখানিকটা মিল আছে।

ওয়েট্রেস ব্র্যাকফাস্টের সঙ্গে নিয়ে আসে লকেল নিউজে ভরপুর প্রভাতী কাগজ। কফির পেয়ালায় চুমক দিতে দিতে ব্যানার করে ছাপা মার্ডারের সংবাদটি পড়ি। সঙ্গে সঙ্গে যেন গায়ে ইলেকট্রিক শক লাগে। এত অবাক হই যে, চশমার কাচ ঝাপসা হয়ে আসে। চোখের সামনে থেকে মুছে যায় মিসিসিপি নদীর বহতা দৃশ্যপট। গেল রাতে আমি যে রেস্ট এরিয়াতে থেমেছিলাম এবং কী কারণে যেন বাথরুমে ঢুকতে গিয়ে ভয় পেয়ে দৌড়ে ফিরে আসি গাড়িতে; ওই বাথরুমে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হয়েছেন এক কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ। তার মানিব্যাগ, ক্রেডিট কার্ড কিছু খোয়া যায়নি। তদন্ত কেবল শুরু হয়েছে, পত্রিকার সংবাদ লিখিয়ে অনুমান করছেন ঘটনাটি ‘রেসিয়েলি মটিভেটেড’ অর্থাৎ হয়তো নিহত মানুষটি ভিকটিম হয়েছেন বর্ণবাদী হিংসার।

গেল রাতে অপ্রত্যাশিত বিপদের হাত থেকে রেহাই পেয়েছি, তাই দেহমনে এক ধরনের নিরাপত্তাবোধ ফিরে আসে বটে; তবে ড্রাইভ করতে করতে বর্ণবাদী হিংসার ইস্যুটি মশারির ছিদ্র গলে ঢুকে পড়া ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশার মতো সর্বত্র কামড়াতে থাকে। ঘণ্টাখানেক হলো আমি মিসিসিপি নদীর মূল খাতের সমান্তরালে চলা সড়ক থেকে সরে এসেছি। এদিকে বয়ে যাওয়া আরেকটি নদীর নাম তালাহাসি রিভার। পথে একবার গাড়ি থামিয়ে তার জেটির দিকে তাকিয়ে থেকেছি মিনিট চল্লিশেক। তালাহাসি রিভার মিসিসিপি নদীর মতো জমকালো না হলেও এতে ভাসছে রিভার ক্রুজের শৌখিন প্রমোদতরী। একটা বিষয় খেয়াল করেছি, ক্রুজ-বোটের যাত্রীদের সবাই শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান বা ইউরোপ থেকে আগত মানুষজন। এদের মাঝে জনা কয়েক জাপানি ও চীনা পর্যটকদের দেখা মিললেও কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রো-আমেরিকান কোনো যাত্রী দেখতে না পেয়ে খানিকটা অবাকও হয়েছি। তো ভেঁপু বাজিয়ে ক্রুজ-বোট ভাটিতে ভেসে যায়। দুপুরের দিকে চলে আসি আভালন নামে একটি মফস্বলি শহরে। ড্রাইভ করতে করতে খুঁজতে শুরু করি মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের বিগত জামানার যশস্বী সংগীতশিল্পী কান্ট্রি ব্লুজ সিংগার জন হার্টের বসতবাড়ি। কৃষ্ণাঙ্গ মানুষজন হার্ট (১৮৯৩-১৯৬৬) প্রথম জীবনে পেশায় ছিলেন বর্গাচাষি। অবসরে শ্বেতাঙ্গ জোতদারদের বিয়েশাদি জন্মদিনের পার্টি-পরবে গিটার বাজিয়ে ব্লুজ ঘরানার গান করতেন। পরে তিনি সারা দেশজোড়া এমন খ্যাতি অর্জন করেন যে, কালে কালে তার গীত ব্লুজের ধারাটি ‘আভালন ব্লুজ’ নামে মশহুর হয়ে ওঠে।

জন হার্টের বসতবাড়িÑ টিনের দোচালা ঘরটি বর্তমানে মিউজিওমে রূপান্তরিত হয়েছে। তার সামনে গাড়ি পার্ক করে ভেতরে ঢুকতে যাই, বারান্দায় স্বরলিপির কাগজপত্র হাতে আয়েশ করে বসে থাকা শ্বেতাঙ্গ এক পুরুষ ও মহিলা আমাকে বাধা দেন। না, ব্লুজের ওস্তাদের ঘরে এখনই ঢোকা যাবে না, ফিরে আসতে হবে সন্ধ্যা আটটা নাগাদ, তখন ঘরের বৈঠকখানায় ফায়ার-প্লেস জ্বালিয়ে গানের জলসা বসবে। ঢুকতে হবে পঁচিশ ডলারের টিকিট কেটে। কেবল বিকাল হচ্ছে, সন্ধ্যা হতে অনেক দেরি। তো অপ্রাপ্তি নিয়ে ফিরে আসছি গাড়িতে। গিটার হাতে আমার পথ আগলে দাঁড়ান কৃষ্ণাঙ্গ এক গায়ক। তার দাড়ি-গোঁফে লেগে আছে পাউরুটির টুকরাটাকরা। কপালে কাটা দগদগে লালচে ক্ষতে উড়ছে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কীট। তিনি গিটার টুংটাংগিয়ে গেয়ে ওঠেনÑ ‘সি ট্রিটস্ মি ডার্টি/বাট আই লাভ হার জাস্ট দ্য সেইম/ওয়েল, ইট ব্রেকস মাই হার্ট টু হিয়ার/লর্ড, সাম আদার ম্যান কল হার নেইম।’ এ লিরিকের কথা ও সুর কী জন হার্টের রচনাÑ জানতে চাইলে কোনো জবাব না দিয়ে গায়ক ড্যান্সের তোড়ে ঘুরে যান। দেখি, তার জিন্সের পেছন দিকের তাপ্পির সেলাই ছুটে যাওয়াতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে ময়লা আন্ডারওয়ার। আমি ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা বাগাই, তিনি জ্যাকেটের পকেট থেকে খেলনার পিস্তল বের করে ফুটুস শব্দে শট করে চিৎকার দিয়ে ওঠেন, ‘ফাক ইউ ম্যান।’ তো আমি ছবি না তুলে গাড়িতে ফিরে আসি। তিনি জানালার কাছে এসে খালি গলায় গেয়ে ওঠেনÑ ‘আই অ্যাম গোয়িং অ্যাওয়ে ওউন্ট বি লং/আই নো ইউ মিস মি সিংগিং অ্যা লৌনসাম সং।’ তার গায়কি এত সংবেদনশীল, গলার স্বর এতই কাতর যে, তা শুনে বুকের ভেতর স্রেফ শূন্য হয়ে যায়।

বিকালের দিকে চলে আসি আভালন শহরের পশ্চিমে বিচ্ছিন্ন এক জনপদে। গ্রামের নাম ‘মানি’। এ গ্রামটি যুক্তরাষ্ট্রের সিভিল রাইট মুভমেন্ট বা কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বিখ্যাত হয়ে আছে বর্ণবাদী অপরাধের জন্য। আমি গাড়ি পার্ক করে লক্ষয়িষ্ণু গাঁয়ের চারদিকে হাঁটাচলা করি। দীর্ঘ ঘাসের আড়ালে গোটা তিনেক অকেজো জং ধরা গাড়ি। স্টিয়ারিং হুইলে পা রেখে রিয়ারভিউ মিররে মুখ দেখে ফিচকে কাঠবিড়ালি। আমি এসব পেরিয়ে ‘ব্রায়ান্ট গ্রোসারি’ বলে এক মুদির দোকানের সামনে এসে দাঁড়াই। দোকানটি অনেক বছর সারাই হয়নি, তাই ঝুরঝুরে হালতে পড়ো-পড়ো হয়ে আছে। ছাদ, চাল সবকিছু ভেঙে পড়ছে। ঝুলে আছে কড়ি বরগা। অনেক বছর হলো দোকানের ঝাপ খোলা হয়নি, তাই তার চারদিকে অবলীলায় গজিয়েছে বুনো ঝোপঝাড় ও লতানো কুঞ্জ। স্থানটি নিরিবিলি হলেও একেবারে নির্জন নয়। দীর্ঘদেহী কৃষ্ণাঙ্গ এক আফ্রো-আমেরিকান যুবক তার বান্ধবীর কোমরে হাত রেখে ফ্রিজবি হাতে হেঁটে যায় অকেজো গাড়িগুলোর দিকে। কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ঘাসে ফ্রিজবির প্লেট রাখলে তার কিশোরী বান্ধবী প্যাকেট ছিঁড়ে তাতে ছড়িয়ে দেয় চিনাবাদাম। বুঝতে পারিÑ তারা কাঠবিড়ালিকে আদার খাইয়ে চেষ্টা করছে আমোদ পেতে। আমি মেয়েটির শ্বেতকায় গাত্রবর্ণের দিকে তাকিয়ে একটু চমকাই। সে টাইটসের ওপর পরে আছে বাদামি ধূসর বর্ণের টপস্। নিচে ফিরোজা রঙের টি-শার্টের ঝুল দীর্ঘ বলে তা জড়িয়ে আছে তার অর্ধবৃত্তাকার ভারী নিতম্বে। মেয়েটির মুখে মরচে রঙের মেছেতার গাঢ় ছাপ।

আজ থেকে ঠিক ৫০ বছর আগে ১৯৫৫ সালে রয় ব্রায়ান্ট বলে পরিচিত এক শ্বেতকায় আমেরিকান ব্রায়ান্ট গ্রোসারি নামের এ মুদির দোকানটি চালাত। তাকে সাহায্য করত তার শ্বেতাঙ্গপতœী। কী কারণে জানি এমেট টিল নামে শিকাগোর ১৪ বছরের এক কৃষ্ণাঙ্গ বালক এ দোকানে আসে কেনাকাটা করতে। কাহিনি এ রকমÑ ছেলেটি একপর্যায়ে মিসেস ব্রায়ান্টের দিকে তাকিয়ে ইঙ্গিতময় ভঙ্গিতে শিস দেয়। তার পরিণামে রয় ব্রায়ান্ট তার আরেক শ্বেতাঙ্গ প্রতিবেশী জে ডাব্লিউ মিলানকে নিয়ে ছেলেটিকে আটকে বেধড়ক মারধর করে এবং অত্যাচারের একপর্যায়ে উপড়ে নেয় তার দুটি চোখ।

সময় তো বয়ে গেল অনেক। যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদী পরিস্থিতির তবে কি খানিকটা বদলও হয়েছে? এ বিষয়টি ভাবতে ভাবতে আমি দেখি, কাঠবিড়ালি কুট করে তুলে নিচ্ছে ফ্রিজবির প্লেট থেকে চিনাবাদাম। আর কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রো-আমেরিকান যুবক তার শ্বেতাঙ্গ বান্ধবীর চিবুকে আঙুল রেখে তার ঠোঁটে রাখছে মোড়ক খোলা ললিপপ।

আমি হাঁটতে হাঁটতে চলে আসি তালাহাসি নদীর তীরে। আজ থেকে ৫০ বছর আগে এ নদীতে তিন দিন তিন রাত ভেসেছিল ১৪ বছরের কৃষ্ণাঙ্গ বালক এমেট টিলের লাশ। কবর দেওয়ার আগে তার মা কফিনের ঢালা খুলে রেখেছিলেন; যাতে সবাই পরিষ্কারভাবে দেখতে পায় তার সন্তানকে শ্বেতাঙ্গরা কীভাবে অত্যাচার করেছে। আদালতে খুনের মামলাও হয়েছিল। কিন্তু শ্বেতাঙ্গ জুরিরা রয় ব্রায়ান্ট ও জে ডাব্লিউ মিলানকে বেকসুর খালাস দেয়।

আমি খানিকক্ষণ তালাহাসি নদীর চলমান জলের দিকে তাকিয়ে থাকি। এমেট টিলের মৃত্যু, বর্ণবাদী এ মার্ডার আমেরিকার সিভিল রাইট মুভমেন্ট বা নাগরিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জোগায় প্রতিবাদের তীব্র ইন্দন। ব্রায়ান্ট গ্রোসারি নামের মুদির দোকান ও তালাহাসি নদীর এ এলাকা আন্দোলনের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য। কিন্তু আশ্চর্য হই, এখানে কোনো ফলক বা স্মৃতিস্মারক নেই দেখে। ভাবতে ভাবতে দেখি, মিশ্র বর্ণের ডেট করতে থাকা এ দম্পতিÑ কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ও শ্বেতাঙ্গ কিশোরীটিও এসে দাঁড়িয়েছে নদীর তীরে। মেয়েটি হাতে একটি আংটি নিয়ে সূর্যালোকে পাথরের বিকিরণ দেখে। জানতে কৌতূহল হয়Ñ এ আংটি কি তাদের এনগেজমেন্ট রিং? কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ঘাসে হাঁটু গেড়ে বসে মেয়েটির ফিরোজা রঙের টি-শার্ট সরিয়ে স্ফীত হয়ে আসা তলপেটে কান পাতে। খানিক ভিন্ন দিকে হাঁটতে হাঁটতেÑ এ যুগলের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত থেকে দূরে সরে যেতে যেতে ভাবি, তারা কি এমেট টিলের হত্যার সংবাদ জানে? জানে কিÑ এ রকম একটি দিনে আজ থেকে ৫০ বছর আগে তালাহাসি নদীর ঘোলাজল থেকে কৃষ্ণাঙ্গ এক মা টেনে তুলেছিল চক্ষুহীন সন্তানের লাশ?

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close