জাককানইবি প্রতিনিধি

  ২৩ মে, ২০২৩

এ যুগের আদুভাই

অর্ধযুগ ধরে হলে বহাল

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী প্রয়াস কুমার মিশ্র। তার ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে অর্ধ যুগেরও বেশি সময় আগে। বিশ্ববিদ্যালয়ে তার শিক্ষা কার্যক্রম শেষ। অথচ এখনো দখল করে আছেন হলের সিট। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের পদ ভাঙিয়ে সিট আটকে আছেন বলে অভিযোগ।

কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও অর্ধযুগ ধরে তিনি অগ্নিবীণা হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অন্যদিকে পড়াশোনা শেষ করে ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক চলে গেছেন কর্মজীবনে।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রয়াস কুমার মিশ্র বারবার পুনঃভর্তি হয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। তার স্নাতকোত্তর শেষ হয় ২০১৯ সালে। যার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান রেজওয়ান আহম্মেদ শুভ্র।

ছাত্রত্ব নেই অর্ধযুগ ধরে, তবু বহাল আছেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি পদে। সেই পদের জোরে ফাও খান ডাইনিংয়ে। এ নিয়ে মুখ খুলতে চান না হলের ডাইনিং পরিচালনাকারীরা। তবে ফাও খাওয়ার কথা ভিন্নভাবে স্বীকার করেছেন প্রয়াস।

তিনি বলেন, আমি ছাত্রলীগ করি, ‘হলের সভাপতি হিসেবে ফাও খেতেই পারি। বাসা থাইকা আইনা রাজনীতি করমু নাকি। এটা আমার অধিকার।’ অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় ১৪ হাজার টাকার ওপরে বাকি তার। ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক ফজলুল হক মাস্টার বলেন, ‘আমার থেকে ১৪ হাজার টাকার ওপরে বাকি খাইসে। এখন আর এইদিকে আসে না। টাকা চাইলেই চিল্লানি দেয়।’

এক বছরের জন্য গঠিত ছাত্রলীগের হল কমিটি পার করেছে অর্ধযুগ সময়। দুই সদস্যের এই কমিটি এই ছয় বছরে পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি।

ছাত্রত্ব ও সংগঠনের দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কেন দায়িত্ব পালন করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ক্ষেপে যান প্রয়াস কুমার মিশ্র।

তিনি বলেন, ‘আমি বেঁচে আছি। যতদিন বেঁচে থাকব ততদিনই সভাপতি থাকব। মরে গেলে তো আর থাকব না। পদে থাকা এটা আমার অধিকার। যারা এসব নিয়া কথা বলবে তারা আমার কাছে আসুক পিটাইয়া ঠিক করে ফেলব। আমার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। অন্য কেউ নিতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি নিজেরাই তো ঠিক নাই।’

নারী উত্ত্যক্ত করার অভিযোগও রয়েছে এই নেতার বিরুদ্ধে। নারী শিক্ষার্থী দেখলেই বাজে মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ দশের অধিক নারী শিক্ষার্থী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, ‘তিনি রাস্তায় দেখামাত্রই এমন বাজে মন্তব্য করেন যা বলার অযোগ্য। কেবল আমি নই আমার বিভাগের আরেক বান্ধবীকে তো দেখলেই শিষ দেয়। নোংরা নোংরা লাইন দিয়ে সুর করে গান শোনায়। আমি প্রথমে ভাবতাম আমাদের সমান কিংবা জুনিয়র।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close