শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩

স্কোয়াশ চাষে ঝুঁকছেন শাহজাদপুরের চাষি

শাহজাদপুর উপজেলার পল্লী অঞ্চল রূপবাটি ইউনিয়নের বাগধুনাইল এলাকার শত শত বিঘা জমিতে স্কোয়াশ চাষ হচ্ছে। এটি মূলত একটি শীতকালীন সবজি দেখতে অনেকটা বাঙির মতো লম্বা ও সবুজ। স্কোয়াশ একটি কুমড়াজাতীয় বিদেশি সবজি, ভোক্তার কাছে এর বেশ চাহিদা রয়েছে, উচ্চমূল্যের ফসল বলে এটি লাভজনক। তাই চাষিরা স্কোয়াশ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

স্কোয়াশ চাষে বিঘাপ্রতি প্রায় ২০ হাজার টাকা উৎপাদন ব্যয় হলেও উৎপাদিত স্কোয়াশ বিক্রি করে প্রায় দেড় লাখ টাকা পাওয়া যায়। চাষের খরচ বাদে বিঘাপ্রতি জমিতে কৃষকের প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার মতো লাভ হয়। মাত্র ৪০-৫০ দিনেই এ ফসল পাওয়া যায়।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের চর ধুনাইল গ্রামসহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এ সবজির চাষ হচ্ছে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৮ হেক্টর জমিতে স্কোয়াশ চাষ হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার স্কোয়াশ সরাসরি চলে যাচ্ছে ঢাকায়।

উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকেও স্কোয়াশ চাষ বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে মালচিং শিট ব্যবহার করে উন্নত মানের স্কোয়াশ উৎপাদন প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে।

প্রদর্শনীপ্রাপ্ত কৃষক আবদুস সালাম জানান, মালচিং শিট ব্যবহার করার ফলে স্কোয়াশ চাষে পানি সেচ, নিড়ানি দিতে হয়নি। রোগবালাইয়ের উপদ্রব কম। তিনি আরো বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে ২ হাজার ৫০০ গাছ আছে, প্রতি গাছে গড়ে ৩-৪ স্কোয়াশ রয়েছে। প্রতি স্কোয়াশ ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মো. এহসানুল হক বলেন, কৃষকদের আমরা উচ্চমূল্যের ফসলের দিকে নিয়ে যাচ্ছি। যাতে তারা লাভবান হন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ আবদুস ছালাম বলেন, অল্প সময়ে স্বল্প বিনিয়োগে স্কোয়াশ চাষে অধিক লাভ করা যায়। স্কোয়াশ চাষে কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন। এই চরের আবহাওয়া স্কোয়াশ চাষের উপযোগী এবং লাভজনক। সেজন্য এর চাষ বাড়াতে আমরাও কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close