ঢাকার খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে এক তরুণ চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাত ৯টায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, দেবাশীষের কক্ষে চিঠি পাওয়া যায়। ‘চিঠিতে লেখা, আমার আত্মহত্যার জন্য কেউ দায়ী নয়। আত্মহত্যা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথ ছিল না। বেঁচে থেকে লাভ কী? তবে চিঠিটি তার হাতের লেখা কি না, সেটা যাচাই-বাচাই করা হচ্ছে।’

তরুণ ওই চিকিৎসকের নাম জয়দেব চন্দ্র দাস দেবাশীষ। তিনি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের দক্ষিণ সালান্দার কুমারীপাড়া গ্রামে।

খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাসেল পারভেজ বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় এসে নিকুঞ্জ আবাসিকের ১৫ নম্বর সড়কের একটি ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন দেবাশীষ। ওই ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে চিকিৎসকরা মেস করে থাকেন। অষ্টমতলায় দেবাশীষের কক্ষ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে গতকাল রাতে প্রতিবেশীরা থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে খাটের ওপর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।

ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের বরাত দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, দেবাশীষকে তিন দিন বাসা থেকে বের হতে দেখেননি। ওই কক্ষে তিনি একাই থাকতেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, দেবাশীষের কক্ষ থেকে উদ্ধার হওয়া আলামত দেখে আত্মহত্যা বলে ধারণা হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক দলও কাজ করছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

"