নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২২ জুন, ২০২১

মন্তব্য হাইকোর্টের

শিশুর ঘাড়ে ভাই হত্যার দায় দুঃখজনক

আট বছরের ছোট ভাই হত্যা মামলায় ১২ বছরের বড় ভাইয়ের কাছ থেকে যদি জোর করে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়, তাহলে সেটি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করে। বগুড়ার কাটাখালীতে মহিদুল ইসলামের আট বছরের ছোট ছেলে হত্যা মামলায় ১২ বছরের বড় ছেলের ‘জোর করে স্বীকারোক্তি’ নেওয়ার বিষয়ে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গত ১১ জুন ‘বিয়ারিং দ্য আনবিয়ারেবল’ শীর্ষক প্রতিবেদন যুক্ত করে এই মামলায় শিশু আদালতের কার্যক্রম চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ আইনজীবী আবেদন করেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

শুনানিতে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, একজন বাবা তার এক সন্তানকে হারালেন, ওই সন্তান হত্যার অভিযোগে বড় ছেলে যার বয়স ১২ বছর, সে হয় আসামি। উল্টো বাড়িঘরও ছাড়তে হয়েছে সন্তানের বাবা-মাকে। ১২ বছরের একটি শিশুকে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে নেওয়া হলো। শিশু আদালতের সামনে আসল অথচ আইন থাকা সত্ত্বেও কোনো পদক্ষেপ নেই। এই কারণে বিষয়টি দেখভালের জন্য আমরা আপনাদের কাছে এসেছি। যাতে ঘটনার সঠিক তদন্ত হয়ে সুষ্ঠু বিচার সম্পন্ন হয়। শুনানিতে আদালত বলেন, এটা তো দুঃখজনক। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে এবং এটি যদি সত্য হয়, তাহলে সেটি আমাদের দেশের জন্য দুঃখজনক। আমরা এখনো জানি না কী ঘটেছে। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার জন্য বলেন আদালত। একই সঙ্গে এ বিষয়ে শুনানি ও আদেশের জন্য আগামী ২৯ জুন তারিখ ঠিক করে দিয়েছে আদালত। ­

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close