নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৯ মার্চ, ২০২১

দুদকের বিদায়ী চেয়ারম্যান বললেন

সফলতার কথা বলতে গেলে পক্ষপাতিত্ব থাকতে পারে

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিদায়ী চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘পাঁচ বছর আগে এক বসন্তে আপনাদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলেছিলাম। আজ আবার আরেক বসন্তে আপনাদের কাছ থেকে হাসিমুখেই বিদায় নিচ্ছি। মানুষ আসে চলে যাওয়ার জন্য। এটাই নিয়ম। আমাদের সফলতা-ব্যর্থতা আপনাদের প্রাত্যহিক লেখনীর মাধ্যমে আপনারাই প্রকাশ করেছেন। নতুন করে সফলতা-ব্যর্থতার কথা বলা হয়তো সঠিক হবে না। এ সফলতা-ব্যর্থতার বিশ্লেষণের ভার গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ তথা জনগণেরই ওপর ছেড়ে দিলাম। তার কারণ আমি সফলতার কথা বলতে গেলে তাতে পক্ষপাতিত্ব থাকতে পারে।’

গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বিদায়ী সৌজন্য সাক্ষাতে এক প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ এ কথা বলেন।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘বিগত পাঁচ বছরে দুদকের যে আইনি ম্যান্ডেট রয়েছে, তা কার্যকর করার জন্য সব সময় সচেষ্ট ছিলাম। গণমাধ্যমের অনেক রিপোর্ট নিয়ে কমিশন অনুসন্ধান বা তদন্ত করেছে। গণমাধ্যমে আমাদের অনেক সমালোচনা হয়েছে, আবার প্রশংসাও হয়েছে। আমরা গণমাধ্যমের অনেক সুপারিশ গ্রহণ করেছি। সমালোচনাকে সব সময়ই সাধুবাদ জানিয়েছি। আজ এ বিদায়বেলায়ও বলব, গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমেই পরিশুদ্ধ হওয়া যায়।’

দুদকের বিদায়ী এ চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘ব্যক্তিগত লাভের জন্য কোনো কাজ করিনি। অনিচ্ছাকৃত ভুল হলে জনগণের কাছে ক্ষমা চাই। সফলতা সবার, ব্যর্থতা আমার একার।

দুর্নীতি দমনে চেষ্টার কোনো ত্রুটি করিনি। বিবেকের সঙ্গে কখনই প্রতারণা করিনি। নির্মোহভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। আইনের বাইরে কোনো কাজ করিনি।’গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুদক যথেষ্ট ক্ষমতাশালী প্রতিষ্ঠান। নখ-দন্তহীন বাঘ এগুলো অতীত বিষয়। বর্তমান কমিশন একটি বার্তা দিতে সফল হয়েছে, তা হলো কেউ-ই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। ক্ষমতা বা অর্থের প্রভাবে দুদককে প্রভাবিত করা যায়নি। অনেককেই আইনের মুখোমুখি হতে হয়েছে।’

দুদকের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিধি অনুসারে দুদকের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমনে দুদকের বিদ্যমান মেকানিজম সংস্কার করা যেতে পারে। অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটির পরিধি বাড়ানো যেতে পারে। প্রথিতযশা গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব কিংবা সুশীল সমাজের প্রতিনিধি অথবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের অভ্যন্তরীণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জন্য এ জাতীয় কর্মপ্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করা যেতে পারে। তবে এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত মতামত।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close