গণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

  ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

গণ বিশ্ববিদ্যালয়

সাবেক রেজিস্ট্রারের মৌখিক আদেশের বলি শিক্ষার্থীরা

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেনের মৌখিক আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গত বছরের জুনে তিনি ওই আদেশ দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বিষয়টি সাংবাদিকদের অবগত করেন।

মৌখিক আদেশে সাবেক রেজিস্ট্রার বলেন, ‘আগামী ১০ জুলাইয়ের মাঝে বকেয়া পরিশোধ করলে জরিমানা দিতে হবে না।’ এরপর ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও এই ঘোষণার বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের। হিসাব ও অর্থ বিভাগের পরিচালক মো. আবদুল কাদের জানান, লিখিত না পেলে মৌখিক আদেশে তো আমরা কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারি না।

গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ছাত্রীর সঙ্গে ‘অশ্লীল’ ফোনালাপ ফাঁসের পর ১২ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেনকে অব্যাহতি দেয় ট্রাস্টি বোর্ড। তৎকালীন রেজিস্ট্রারের আদেশের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত হবে জানতে পরপর দুই দিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়। কিন্তু তারা ফোন রিসিভ করেননি।

শিক্ষার্থী ও পত্রিকার খবর সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১ জুলাই অনলাইনে শুরু হওয়া সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার এক সপ্তাহ পূর্বে ২৪ জুন সম্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধের আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বকেয়া পরিশোধ না করলে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এর দুইদিন পর, ২৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে আলোচনায় বসে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, ছাত্র সংসদ, সাংবাদিক সমিতি, ছাত্র পরিষদসহ অন্যরা।

আলোচনায় তৎকালীন রেজিস্ট্রার জানান, বকেয়ার ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেন শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন এবং ১০ জুলাই তারিখের মধ্যে যারা বকেয়া পরিশোধ করবেন, তাদের জরিমানা দিতে হবে না। একইসঙ্গে ওই সময়ের মধ্যে যারা ৫ হাজার জরিমানা সহ বকেয়া পরিশোধ করেছেন, তাদের জরিমানার টাকা পরবর্তী সেমিস্টারে যুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি। রেজিস্ট্রারের এ সিদ্ধান্ত তখন একাধিক পত্রিকায় প্রকাশ হয়।

ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষার্থী ইহসানুল কবির জরিমানাসহ বকেয়া পরিশোধ করেন গত বছরের ২২ জুন। একই অনুষদের মো. সাগর সরকার রকি রেজিস্ট্রারের ঘোষণার আগেই জরিমানার ৫ হাজারসহ বকেয়া পরিশোধ করেন। ঘোষণা অনুযায়ী, তাদের উভয়েরই জরিমানার টাকা পরের সেমিস্টারে যুক্ত হওয়ার কথা। কিন্তু সর্বশেষ ২৭ জানুয়ারি প্রকাশিত বকেয়া তালিকায় তাদের উভয়েরই ৫ হাজার টাকা বাকি দেখানো হচ্ছে। একই দশা অনেক শিক্ষার্থীর।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তৎকালীন সময়ে রেজিস্ট্রারের মুখের কথাতেই অনেক কিছু বাস্তবায়ন হতো। লিখিত নোটিস তিনি কমই দিতেন। সিদ্ধান্ত হওয়ার পর যদি তিনি লিখিত নোটিস না দেন, এর দায়ভার কে নিবে? ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা ২৭ জুন তারিখ ঘোষণার আগেই জরিমানাসহ টাকা পরিশোধ করেছি, কিন্তু জরিমানার ৫ হাজার টাকা পরের সেমিস্টারে যুক্ত করা হয়নি। ফলে তারা পরীক্ষার ফল দেখা এবং পরবর্তী সেমিস্টারের ক্লাসে অংশগ্রহণ করা নিয়ে পেরেশানিতে আছেন বলে জানান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close