নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

বরিস জনসনকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থন কামনা

যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল বিজয় অর্জন করায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতে ব্রিটিশ নেতার ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে এক অভিনন্দন বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, এই বিজয় দলটির নেতৃত্বের প্রতি যুক্তরাজ্যের জনগণের ব্যাপক আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন। এই বিজয় ঢাকা-লন্ডন বিদ্যমান সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বের সহায়তায় রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের বর্বরতার জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব। আর এটা সম্ভব হলেই রোহিঙ্গারা পূর্ণ অধিকার, সম্মান, নিরাপত্তা ও টেকসই পরিবেশে তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যেতে পারবে। এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে জনসনের বাংলাদেশ সফর ও রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের কথা তুলে ধরেন। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক গণতন্ত্র ও সহনশীলতার অভিন্ন মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলার মতো ইস্যুতে আমরা একই অবস্থানে রয়েছি। আমরা অধিকতর সমৃদ্ধির আকাক্সক্ষার অংশীদার।

তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে যুক্তরাজ্য সরকার ও জনগণ বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছিল। তিনি বলেন, কোনো হয়রানি ছাড়াই পাকিস্তানি কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাজ্যের দৃঢ় অঙ্গীকার ছিল দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মূল ভিত্তি।

শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি লন্ডনে পৌঁছালে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানমন্ত্রী স্যার এডওয়ার্ড হিথ তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। বাণিজ্য, বিনিয়োগ, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্কের জন্য প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, অভিন্ন স্বার্থ এবং মানবতার জন্য অংশীদারিত্বের সম্পর্ক আরো জোরদারে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করার জন্য আমি তাকিয়ে আছি। শেখ হাসিনা ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বরিস জনসনকে আন্তরিকভাবে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close