নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে আহত করার জের ধরে এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে আরো কোনো কারণ আছে কি না তা জানাতে পারেনি। গতকাল রবিবার রাতের শেষের দিকে উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নোয়াখলা গ্রামের আকবর পাটোয়ারীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আহাদ আহমেদ ওরফে হাম্বা (২০) উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নোয়াখলা গ্রামের আকবর পাটোয়ারী বাড়ির বাবর হোসেনের ছেলে। জানা গেছে, পূর্বশক্রতার জের ধরে ভোররাতের দিকে নোয়াখলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) ওমর ফারুক পাটোয়ারীকে তার ভাড়া বাসা মাদরাসা আলা পাঠান বাড়িতে ঢুকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে গুরুতর করে। খবর পেয়ে মেম্বারের অনুসারী ও স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত আহাদের বাড়িতে পাল্টা হামলা চালায়।

একপর্যায়ে তাকে তার বাড়িতে পিটিয়ে গুরুতর আহত করলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

নোয়াখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি মো. মানিক বলেন, আহাদ আগে থেকেই মাদকাসক্ত ও বেপরোয়া ছিল। গতকাল ভোর রাতের দিকে সে মেম্বারের ঘরের দরজায় দিয়ে টোকা দেয়। এরপর মেম্বার ফারুক দরজা খুলতেই তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী আহাদের বাড়িতে গেলে সেখানে সে ছালেহ আহমদ নামে আরো এক ব্যক্তিকে জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন আহাদের বাড়িতে তাকে ধরে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত মেম্বারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

চাটখিল থানার ওসি এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ফারুক মেম্বারের ঘরে গিয়ে আহাদ নামের এক ছেলে তাকে কুপিয়ে আহত করে। পরে এলাকার লোকজন একত্র হয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করে। একসময় গণপিটুনিতে সে মারা যায়।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, নিহত আহাদ শরীফ বাহিনীর সদস্য ছিল। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তবে তার বিরুদ্ধে থানায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা ছিল না। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।

"