বর্জ্য অপসারণে মাঠে ঘাম ঝরাচ্ছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা
দ্রুত সময়ের মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করতে সকাল থেকে মাঠে কাজ করছেন ঢাকার দুই সিটির পরিচ্ছন্নকর্মীরা।
সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন সকাল সাতটা থেকে রাজধানীতে পশু কুরবানি শুরু হয়। এরপর কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে মাঠে নামেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে বর্জ্য অপসারণে কাজ করছেন তারা।
ওয়েদার ডটকমের তথ্য বলছে, ঈদের দিন রাজধানীর তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে অনুভূত হচ্ছে ৪৪ ডিগ্রি পর্যন্ত। এমন গরম উপেক্ষা করে সিটি করপোরেশনের শত শত পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের একাংশ ঝাড়ু দিয়ে সড়কের ময়লা একত্রিত করে নিচ্ছেন। আরেক দল একত্রিত করা ময়লা সংগ্রহ করে নির্ধারিত স্থান পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছেন। তাদের আরেকটি দল শুধু কুরবানির পশুর বর্জ্য সংগ্রহ করছেন। সব কিছু এক জায়গায় নিয়ে আসার পর বড় গাড়ির মাধ্যমে তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডাম্পিং স্টেশনে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নং ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন মোহাম্মদ সবুজ। তিনি বলেন, 'আমরা সকাল থেকেই কাজ করতাছি। দুপুরের আগে সব ময়লা ক্লিয়ার করমু। গরম অনেক, একটু কষ্ট তো হইতাছে।'
একই তথ্য জানান আরেক পরিচ্ছন্নতাকর্মী মোহাম্মদ রায়হান। তিনি বলেন, 'গরমে কাজ করার অভ্যাস আমগো আছে। আজকে তো তাড়াতাড়ি কাজ শ্যাষ করা লাগবো। স্যাররা আগেই কইয়া দিছে। সব ঈদেই এমন হয়।'
পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা জানিয়েছেন, ঈদের দিনের মতো ঈদের পর আরও দুইদিন একইভাবে ঘাম ঝরাতে হবে তাদের। কারণ রাজধানীতে টানা তিন দিন পশু কোরবানি হয়। তবে মূল চাপটা থাকবে আজই।
ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের তথ্য বলছে, এ বছর কোরবানির ঈদে দুই সিটি করপোরেশন ৪০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি বর্জ্য সরানোর প্রস্তুতি নিয়েছে।এজন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী আর হাজারের ওপর যান-যন্ত্রপাতি। এজন্য কেনা হয়েছে নতুন নতুন যন্ত্রও।
পিডিএস/এমএইউ