নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৬ মে, ২০২৪

তরুণ প্রজন্মকে সামাজিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ বজায় রাখার আহ্বান শিক্ষাবিদদের

তরুণ সমাজকে অসাম্প্রদায়িকতা, সামাজিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরা। তারা বলেছেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা ব্যবস্থা, যৌন হয়রানি বন্ধ, সম্পত্তিতে নারীর মর্যাদা এবং উত্তরাধিকার নিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন হতে হবে। ধর্মনিরপেক্ষ ও মানবিক মূল্যবোধসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে। গতকাল শনিবার জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত ‘জেন্ডার সমতা ও সমনাগরিকত্ব প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিক এবং ইহজাগতিক মূল্যবোধ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তারা।

বিএনপিএসের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীরের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. নুজহাত চৌধুরী, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী। বিএনপিএসের পরিচালক শাহনাজ সুমীর সঞ্চালনায় সেমিনারে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন বিএনপিএসের সমন্বয়কারী নাসরীন বেগম।

সেমিনারে ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংসের অপচেষ্টা করা হয়েছে। সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আজকের তরুণদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে। তারা একটি সমৃদ্ধশালী বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তরুণদের স্বপ্ন পূরণে কাজ করতে হবে। তরুণদের হাত ধরে এদেশে সাম্যতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী বলেন, এখনো অর্থ বিনিয়োগ করে বিভিন্ন এলাকায় ধর্মীয় ওয়াজের নামে নারীর প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। হাজার বছর ধরে সুকৌশলে ভাষাগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নারীর প্রতি বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে। ঐতিহ্যমণ্ডিত সংস্কৃতির মধ্যে ধর্মকে কৌশলে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর প্রথম ধর্মনিরপেক্ষতার বা ইহজাগতিকতার চর্চা শুরু হয় পূর্ব ভারতে সম্রাট অশোকের নেতৃত্বে। আর বল্লাল সেন আমলে এর ভাঙনের সূত্রপাত। এরপর থেকে নারীর অধিকার সবসময়ে আদায় করে নিতে হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close