নিজস্ব প্রতিবেদক
কাটেনি ঈদের ছুটির রেশ জমেনি কাঁচাবাজার
ঈদের ছুটির রেশ এখনো কাটেনি। রাজধানীতে সবাই ফেরেনি। এ কারণে নিত্যপণ্যের চাহিদা কমে আছে, সেই সঙ্গে কমে গেছে জোগান। তাই জমে উঠছে না রাজধানীর কাঁচাবাজার। দুই-এক দিনের মধ্যে লোকজন ফিরবে, তখন চাহিদা জোগানের সমীকরণ স্বাভাবিক পর্যায়ে আসবে। তার আগে বাজারে কিছু কিছু নিত্যপণ্যের দাম কমেছে আর কিছু কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, আগামীকাল থেকে জমে উঠবে রাজধানীর সবজি বাজার। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল ও শান্তিনগরসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ঈদের আগে একচেটিয়া দাম বেড়েছিল নানা ভোগ্যপণ্যের। রমজানের আগে ও রমজান মাসেও দাম বেড়েছিল কয়েক দফায়। যার মধ্যে ছিল বেগুন, শসা, পেঁপে, মাংস, মশলা থেকে শুরু করে রমজান ও ঈদে বাড়তি চাহিদায় থাকা বিভিন্ন পণ্য। ঈদের পর প্রায় ক্রেতাশূন্য বাজার। ঈদের ছুটিতে রাজধানী ছেড়ে যাওয়া মানুষের একটি বড় অংশ এখনো ঢাকায় এসে পৌঁছাননি। লোকজন পুরোপুরি না ফেরা পর্যন্ত নিত্যপণ্যের চাহিদা ও জোগান স্বাভাবিক পর্যায়ে আসবে না বলে জানান বিক্রেতারা।
এদিকে, ক্রেতা চাহিদা না থাকায় কমেছে সবজির দাম। কচুর লতি, পটোল, ঢ্যাঁড়স, বরবটি, পেঁপে, শসার দাম কমেছে কেজিতে ৫-১০ টাকা হারে। রমজানের ১০০ টাকার বেগুন বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে, একই দামে বিক্রি হচ্ছে পটোল ও শসা। কেজিতে ১০ টাকা কমে ঢ্যাঁড়স এখন ৩৫-৪০ টাকায়। পেঁপে ও ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে।
সবজি বিক্রেতা সবুজ জানান, বাজারে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। তাই আগের তুলনায় কম পরিমাণ মাল কিনছেন এবং অল্প বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, লোকজন ঢাকায় আসুক, তখন বাজারের কাস্টমারও থাকবে, আমাদের দোকানে পণ্যও ভরা থাকবে। আবার দামও বাড়তে পারে।
এদিকে, দাম বেড়েছে করলা, কাঁকরোল ও ঝিঙের। অপরিবর্তিত আছে কচুরমুখীর দাম। প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। ৩০ টাকা কেজির ঝিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৫৫-৬০ টাকা, ধনেপাতা ১৫০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, গাঁজর ৫০-৬০ এবং বরবটি ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি পিস লাউ ৩৫-৪০ টাকা, জালি কুমড়া ৩০-৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া লাল শাক প্রতি আঁটি ১০ টাকা, কলমি শাক ৫ টাকা, ডাঁটা শাক ২০ টাকা, পাট শাকের আঁটি ১৫ টাকা করে বিক্রি হয়েছে।
আর দেশি পেঁয়াজের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। দেশি পেঁয়াজ কেজি ৪৫ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি, চায়না রসুন ৮০ টাকা আর দেশি রসুন ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা সংকট কিছুটা লাগাম টেনেছে মাংসের দামে। ঈদের আগে ৫০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি হলেও ৪৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এদিকে, কেজিতে ৫ টাকা কমে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। পাশাপাশি কমেছে ব্রয়লার মুরগির ডিমের দামও। হালিতে তিন টাকা কমে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৪-২৫ টাকায়।
প্রতি কেজি বড় সাইজের গলদা চিংড়ি ১ হাজার টাকা, মাঝারি সাইজ ৮০০ টাকা ও ছোট সাইজ ৪৫০-৫৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
"