ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাবি শিক্ষার্থীর ওপর বাসস্টাফের হামলা
চন্দ্রা থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ‘মৌমিতা’ বাসের স্টাফের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর চাঁনখারপুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত রায়হান উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি এখন রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। হামলাকারীদের সবার পরিচয় জানা যায়নি। গাড়ির ড্রাইভারের নাম জুয়েল। গাড়ি নাম্বার ‘ঢাকা মেট্রো গ : ১৬-৬৯২৭।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভুক্তভোগী রায়হান শহরের শ্যামলী থেকে ‘মৌমিতা’ বাসে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলসংলগ্ন নিমতলী গেটে নামতে চাইলে তাকে জোরপূর্বক চাঁনখারপুলে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ওই বাসের স্টাফ। সে ওই স্থানে নামতে না চেয়ে নিমতলী গেটে নামতে চাইলে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বাসের দুজন স্টাফ মিলে তাকে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে। হামলায় তার শরীর থেকে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। পরে তার সহপাঠীরা এসে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যান। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে চিকিৎসকরা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে সেখান থেকে আবার হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়।
হামলায় তার ডান হাতের দুটি শিরা ছিড়ে গেছে বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক। তিনি আরো জানান, হামলায় তার ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। তার হাতে অন্তত ১৪টি সেলাই লেগেছে। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।
এ বিষয়ে হামলার শিকার রায়হান বলেন, ‘আমি আমার গন্তব্যে নামার সময় কথাকাটাকাটি করার একপর্যায়ে বাসের কয়েকজন স্টাফ মিলে আমার বাবা-মাকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করে। আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে মারধর করে।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম গোলাম রব্বানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো কিছু জানি না। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। ঘটনার সত্যতা পেলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আমরা নেব।’
"