মাহাবুব চান্দু, মেহেরপুর

  ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

মেহেরপুরে ডায়রিয়ার প্রকোপ

একদিনেই ভর্তি ৭৭ জন, দুই শিশুর শরীরে কলেরার জীবাণু

মেহেরপুরে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে রোগী। কিন্তু আশঙ্কাজনক ব্যাপার হচ্ছে, আক্রান্তদের ৯৫ ভাগই পৌর এলাকার এবং অধিকাংশই ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চক্রপাড়ার বাসিন্দা। গত বুধবারে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৭৭ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার ২৬ শিশুসহ ৭৬ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালের ২২ বেডের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গাদাগাদি করে অবস্থান করতে দেখা যায়। শীতের শুরুতে ঠা-াজনিত রোগের প্রকোপ কাটিয়ে ওঠার আগেই ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাবে হাসপাতালে ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে। আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্যালাইন ধার করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে। আক্রান্তদের সন্দেহ, পৌরসভার সরবরাহকৃত পানি থেকে এর জীবাণু ছড়িয়েছে, তারা পানি পরীক্ষার দাবী জানিয়েছেন।

হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) মৃনাল কান্তি ম-ল শংকা প্রকাশ করে জানান, র‌্যাপিড ডায়াগনিস্ট টেস্টে (আরডিটি) ডায়রিয়া আক্রান্ত দুইজন শিশুর কলেরার পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। যা কয়েকযুগ আগের ডায়রিয়া আক্রান্তদের রিপোর্টে পাওয়া যেত। এটি আতংকের বিষয়।

এদিকে হাসপাতালের ৪০ বেডের মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডেও ঠা-া জনিত ১শ জন রোগি চিকিৎসা নিচ্ছে। ওয়ার্ডেই স্থান সংকুলান না হওয়ায় ওয়ার্ডের বাইরে খোলা বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে আক্রান্তরা। বিছানা সংকটে অনেক রোগি হাসপাতাল ছেড়ে ক্লিনিকে চলে যাচ্ছে। চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে ঠা-াজনিত সেপ্টি সেমিয়া, নিউমোনিয়া, থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় ডায়রিয়া এবং মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে রোগিরা খোলা বারান্দায় বাড়ির বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছে। চক্র পাড়ার একই পরিবারের বাবা আত্তাব আলী, ছেলে রনি, মেয়ে লাভলী ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চক্র পাড়ার ডায়রিয়া আক্রান্ত সহিদা বানু, কাকুলী, ক্যামি ও ময়না জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তারা ভর্তি হয়েছেন। হাসাপাতাল থেকে কলেরা স্যালাইন না দেয়ায় বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে।

হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্য দিপালী রোজারিও হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, অনুমিত রোগীর সংখ্যা কয়েকগুন ছাড়িয়ে যাওয়ায় আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলাতে সিভিল সার্জন ও সমাজ সেবা থেকে স্যালাইন ধার করতে হয়েছে।

হাসপাতালের তত্বাবধায়ক মিজানুর রহমান জানান, খুলনা বিভাগীয় অফিসকে স্যালাইনসহ ওষুধের চাহিদা জানিয়ে ই-মেইল বার্তা পাঠানো হয়েছে। পৌর মেয়রও স্যালাইন দিতে চেয়েছেন। তত্ত্বাবধায়ক পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে ধারণা করছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist