ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
ঘোড়াঘাট
গো-খাদ্য হিসেবে কদর বেড়েছে খড়ের
সারা দেশের ন্যায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটেও গো-খাদ্য হিসেবে কাঁচা খড়ের চাহিদা বেড়েছে। কয়েক বছর আগেও জমির মালিকরা মানুষকে খড় বিনামূল্যে দিয়ে দিতেন। তবে আগের চেয়ে কমে গেছে গরু-ছাগলের বিচরণ ক্ষেত্র। শুষ্ক মৌসুমে মাঠে ঘাস না থাকায় এখন খড়ের চাহিদা অনেক। আগাম জাতের আমন ধান কেটে কৃষকরা দ্রুত ধান ছাড়িয়ে কাঁচা খড় বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। সেকারণে খড় বিক্রি করেই আবাদের খরচের প্রায় এক চতুর্থাংশ টাকা ওঠে আসছে তাদের। খড়ের ভালো পেয়ে দাম সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ আগাম জাতের ধান কাটা হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে দেখা গেছে, ঘাস বিক্রির স্থান গুলোতে কানায় কানায় কাঁচা খড়ের আটি দিয়ে ভর্তি। খড় বিক্রি করতে আসা কৃষকরা জানিয়েছেন, দশটি আঁটি একসঙ্গে মুঠো করে বেধে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার ঋষিঘাট গ্রামে ইউনুছ আলী জানান, গ্রামে অধিকাংশ চাষী এখন খড় বিক্রিতে উৎসাহী। হাট বাজারে ধান নিয়ে অনেক সময় বসে থাকতে হয়। কিন্তু ধান কাটার আগেই খড়ের গ্রাহক খদ্দের জুটে যায়।
ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. আরিফা পারভীন জানান, এ উপজেলায় প্রায় ৬৫ হাজার গোবাদি পশু আছে। গো-খাদ্য হিসেবে প্রতিটি গরুকে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬টি খড়ের আঁটি দিতে হয়। বিশেষ করে গাভীর জন্য এ খড় খুবই উপকারী।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান জানান, কৃষকের ঘরে আমন ধান ওঠতে প্রায় আরও দেড় মাস সময় লাগতে পারে। তাই অনেক জায়গায় গো-খাদ্য হিসেবে খড়সহ ঘাসের অভাব দেখা দিয়েছে। আগাম জাতের ধান চাষ করার ফলে গরু-ছাগলের ঘাসের চাহিদা পূরণ হচ্ছে।
"