আরিফ খান, বেড়া-সাঁথিয়া (পাবনা)
বেড়া-সাঁথিয়া
তেল না থাকায় টিসিবির পণ্য কেনায় আগ্রহ নেই ক্রেতাদের
টিসিবির পণ্য কেনার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্রেতাদের দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলেও, পাবনার বেড়া-সাঁথিয়া উপজেলায় এর ভিন্নচিত্র। টিসিবির কার্ডধারীদের পণ্য নিতে আগ্রহ নেই। ক্রেতা শূন্য এমন পরিস্থিতি কারণ টিসিবির পণ্যে পাঁচ কেজি চাল ও দুই কেজি মশুরের ডাল পাওয়া গেলেও, মিলছে না সয়াবিন তেল। তাই আগ্রহ হারিয়েছেন ক্রেতারাও। গত বুধবার সাঁথিয়ার করমজা উইনিয়নে তেল ছাড়া চাল ও ডাল বিক্রয়ের সময় এ দৃশ্য চোখে পড়ে।
জানা গেছে, বেড়া পৌরসভা ও উপজেলায় টিসিবির কার্ড রয়েছে মোট ২২ হাজার ১০৫টি ও সাঁথিয়া পৌরসভা উপজেলায় টিসিবির কার্ড রয়েছে মোট ১৯ হাজার ৬৭৮টি। এর মাধ্যমে কার্ডধারী ও নিম্ন আয়ের মানুষ সরকার নির্ধারিত স্বল্প মূল্যে ২ কেজি সয়াবিন তেল, ২ কেজি মসুরি ডাল ও ৫ কেজি চাল পেয়ে থাকেন। তবে নভেম্বরে সিডিউল ধরতে না পারায় ডিসেম্বরে চাল ও ডাল বিক্রয় করা হচ্ছে তেল ছাড়াই।
সাঁথিয়ার করমজা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায়, টিসিবির বিক্রিত পণ্যের প্যাকেজ মূল্য ২৭০ টাকা হলেও সুবিধাভোগীদের তেমন আগ্রহ নেই। ক্রেতার অভাবে বিকাল পর্যন্ত বসে থেকেও অর্ধেক পণ্য বেচতে পারেননি টিসিবির ডিলাররা। একই অবস্থা পার্শ্ববর্তী বেড়া উপজেলার চাকলা, হাটুরিয়া-নাকালিয়া, কৈটলা ইউনিয়ন পরিষদেও। সেখানেও ভিড় ছিল না ক্রেতার।
কথা হয় করমজা ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলেয়া খাতুন (৩০) ও আব্দুর রহিম (৪০), ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহজাহান আলী (৪৫) সঙ্গে। তারা বলেন, বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ঊর্ধ্বগতি। কম দামে সরকারের টিসিবির পণ্য পেয়ে তারা অনেক খুশি হতেন। কিন্তু তেল না দেওয়ায় সমস্যা হয়ে গেল। তেল নেই জেনে তাদের অনেকেও পণ্য না কিনে ফেরত যাচ্ছেন। সরকারের কাছে অনুরোধ টিসিবির পণ্য তালিকা থেকে তেল যেন যোগ করা হয়।
করমজা ইউনিয়নের টিসিবির ডিলার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে ১ হাজার ৯০০ জন টিসিবির কার্ডধারী রয়েছে। সোমবার প্রথম দিনে তেল না থাকায় প্রায় ৫০০ জনের কাছে পণ্য বিক্রি করেছি। এর আগে দুই লিটার করে তেল দিত। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে লোকজন টিসিবির পণ্য নিত। এবারই টিসিবি তেল দেয়নি। তাই এবার লাইন নেই, গ্রামে গ্রামে খবর দেওয়ার পরও লোক খুবই কম আসছে। দুদিন যাবৎ দিলাম তারপরও লোক কম। আমার পণ্য এখনও রয়ে গেছে। এখন ট্যাগ অফিসার, ইউপি চেয়ারম্যান-সদস্যরা আশপাশের লোকদের কাছে বিক্রি করে দিতেও পারেন।’
জানতে চাই চাইলে পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম এ বিষয়ে জানান, ‘এটি সম্পূর্ণভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। মন্ত্রণালয়ের সিডিউল অনুযায়ী আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি। তিনি আরো বলেন, ‘এখন তেল দেয়নি। পরবর্তীতে হয়তো দিতেও পারে।’
"