লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি

  ১৮ অক্টোবর, ২০২৪

লামা

বছর না যেতেই সাড়ে ৩ কোটি টাকার সড়কে খানাখন্দ

বৃষ্টির পানিতে সড়কটি কাদাপানিতে ভরে গিয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টির অভিযোগ

বান্দরবানের লামা উপজেলার রূপসীপাড়া সড়কের লামা বাজার থেকে কলিঙ্গাপাড়া-লামামুখ পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজের বছর না যেতেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ের এই সড়কটি দ্রুত স্থায়ী সংস্কারের দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে তিন কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে সড়কটি সংস্কার করা হয়। লামা পৌরসভা সর্বাধিক ব্যস্ততম ও প্রধান অংশের প্রশস্তকরণের মাধ্যমে উন্নয়নের কার্যাদেশ প্রদান করে কর্তৃপক্ষ। বান্দরবানের মেসার্স ইউটিমং ট্রডোর্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কের কার্যাদেশ পান। তিনি লামা উপজেলার ঠিকাদার বাদশা, প্রদীপ, বিজয়গংদের নিকট সাব কন্টাক্ট দেন। সাব কন্টাক্টররা আবার স্থানীয় লেবারের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক কাজটি সম্পন্ন করেন। এ অবস্থায় সড়কের মেকাডম করার সময় কঙ্করের সঙ্গে বালি মেশানোর নিয়ম ভঙ্গ করে পাহাড়ের মাটি ব্যবহার করার কারণে নির্মানের মাস না যেতেই বিভিন্ন স্থানে দেবে যেতে থাকে। এর মধ্যে বর্ষা শুরু হলে নামেমাত্র কার্পেটিংয়ের স্থানের শিলকোট ও বিটুমিন দ্বারা করা ঢালাই বৃষ্টির পানিতে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। যার ফলে ব্যস্ততম এই সড়কটি বর্তমানে আবারও চলাচলের সম্পূর্ণরূপে অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

ওই সড়কের টেম্পো টমটম সিএনজি অটোরিকশা মাহিন্দ্রা জিপ ট্রলি ইত্যাদি যানবাহন মালিক-শ্রমিক সমিতির সভাপতি দুলাল মিয়া অভিযোগ করে জানান, সড়কটির উভয় পাশে সাইডড্রেন না থাকার কারণে বৃষ্টির পানিতে সড়কটি কাদা-পানিতে ভরে গিয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সড়কে বড় বড় গর্তের কারণে চলাচলে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিশেষ করে শিক্ষার্থী, রোগীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শিগগির রাস্তাটির স্থায়ী সংস্কার প্রয়োজন।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের লামা উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবুহানিফ জানান, লামা বাজার থেকে কলিঙ্গাপাড়া-লামামুখ পর্যন্ত কাজটি প্রায় শেষের দিকে যোগদান করার কারণে কাজের তদারকি করার সুযোগ পাননি। তবে তিনি সড়কের নির্মাণ সঠিক হয়নি বলে স্বীকার করে আরো জানান, লামা বাজার থেকে এনজেড একতা সমিতির অফিস পর্যন্ত ব্যস্ততম সড়কটির ৫০০ মিটার পর্যন্ত সামান্য বৃষ্টিতেই পানির নীচে ডুবে যাওয়ার কারণে কার্পেটিং টেকসই হয়না। তাই এই স্থানটিতে সিসি ঢালাইয়ের প্রস্তাব কেন্দ্র অনুমোদন করেছেন। খুব শীঘ্রই এই কাজটি শুরু হবে বলে আশ্বাসও প্রদান করেন তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close