নারায়ণগঞ্জ ও কচুয়া প্রতিনিধি

  ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

ফতুল্লায় ৮টি দোকান কচুয়ায় ৩টি বসতঘর পুড়ে ছাই

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অগ্নিকাণ্ডে ৮টি দোকান পুড়ে গেছে। গত মঙ্গলবার মধ্য রাতে ভোলাইলে মিষ্টির দোকান সংলগ্ন এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ফতুল্লা স্টেশনের ৩টি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় রাত তিনটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগেই দোকানগুলোর অধিকাংশ মালামাল পুড়ে গেছে।

এদিকে চাঁদপুরের কচুয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ৩টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। গতকাল বুধবার ভোরের দিকে উপজেলার সেঙ্গুয়া মিয়াজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে নগদ টাকাসহ প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে দাবি করেছে ভূক্তভোগী পরিবারগুলো।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান,

ফতুল্লায় পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে কাঁচামাল, মুদি, চায়ের দোকান ও হোটেল। ব্যবসায়ী সাকিব হক বলেন, ‘রাত দুইটার দিকে আগুন লাগে। স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করি, পরে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট কাজ করেছে।’

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে ৮টি দোকানে প্রায় ১১ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আনুমানিক ১৬ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

এদিকে কচুয়া প্রতিনিধি জানান, উজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের সেঙ্গুয়া গ্রামের মিয়াজী বাড়িতে গতকাল ভোর ৫টার দিকে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে কচুয়া ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয় এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে ততক্ষণে ৩টি বসতঘর ও আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ভূক্তভোগী গৃহবধূ সালমা বেগম বলেন, বৈদ্যুতিক মিটার বিস্ফোরণ হয়ে অগ্নিকাণ্ডে আমার নতুন ২টি বসতঘর পুড়ে গেছে। কিছুই বের করা সম্ভব হয়নি। ঘরে নগদ ৩০ হাজার টাকা, ২ ভরি স্বর্ণ, ৩টি মোবাইল ফোন, ফ্রিজ ও আসবাবপত্র ছিল সব কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।’ এত প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তার দাবি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন। তবে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর সহায়তার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে সাহায্য চাওয়া হবে বলে জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close