চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

  ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

সেবিকাকে গলাকেটে হত্যা, আড়াই ঘণ্টার মধ্যে স্বামী গ্রেপ্তার

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সেবিকাকে গলাকেটে হত্যার আড়াই ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দসহ স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতের দিকে উপজেলার মা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমে এ ঘটনা ঘটে।

হাফিজা খাতুন (৩৫) উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের শমসের আলীর বড় মেয়ে। এ ঘটনায় গতকাল রবিবার সকালে স্বামী কবির হোসেনকে একমাত্র আসামি করে জীবননগর থানায় মামলা করেন হাফিজার বাবা সমশের আলী। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবীদ হাসান।

জানা গেছে, শনিবার রাত ৯টার দিকে মা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমের কেবিনে কর্মরত অবস্থায় হাফিজাকে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শ্বাসনালি কেটে পালিয়ে যায়। পরে নার্সিং হোমের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাগবির হাসান তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পথিমধ্যেই সে মারা গেছে এবং তার গলায়-হাতে ধারলো অস্ত্রের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে বলেও জানান চিকিৎসক।

পরে খবর পেয়ে রাতেই চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানাসহ (দামুড়হুদা সার্কেল) পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ক্লিনিকের মালিক জাকির আহম্মেদ শামীম বলেন, শনিবার রাতের দিকে ক্লিনিকের সেবিকা বিউটি খাতুন আমাকে মোবাইল ফোনে জানায়, ঘটনার দিন সকালে হাফিজার দ্বিতীয় স্বামী কবিরের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়।

এদিকে, ঘটনার আড়াই ঘণ্টার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমানের নির্দেশে জীবননগর থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাফিজার স্বামী কবিরকে বাসস্ট্যান্ড থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দসহ গ্রেপ্তার করে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close