চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

  ২৭ মে, ২০২৩

নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতায় অভিযোগ

শিক্ষার মান ও পরিবেশ নষ্টের আশঙ্কা

নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক একেএম ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। অনিয়মের কারণে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার মান ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বদলি হওয়া বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক।

অভিযোগকারী সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম গত এপ্রিল মাসে নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কক্সবাজারের মহেশখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বদলি হয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবরে পাঠানো হয়েছে এ অভিযোগ।

লিখিত অভিযোগে শফিকুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারেই হতাশাজনক। বিশেষ করে দশম শ্রেণির উপস্থিতি খুবই কম। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি কম থাকা সত্ত্বেও অভিভাবকদের সাথে কোন ধরনের মতবিনিময় করেননি প্রধান শিক্ষক। এতে বিদ্যালয় ও অভিভাবকদের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) যোগদানের পর থেকে শিক্ষক কাউন্সিল গঠন করার কথা থাকলেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। যা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশির নির্দেশনা উপেক্ষিত।

সাময়িকী প্রকাশের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা হলেও গত ৫ বছরে প্রধান শিক্ষক একটিও সাময়িকী প্রকাশ করেননি। এতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সৃজনশীল মেধা বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড দেয়ার নাম করে অর্থ সংগ্রহ করেও প্রধান শিক্ষক কার্ড তৈরি বা প্রদানে কোন উদ্যোগ নেননি। বছরে দুটি করে আভ্যন্তরীণ অডিট করার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক গত ৫ বছরে একটিও অডিটের কার্যক্রম করেননি। এছাড়াও মাউশির নির্দেশনায় মুভমেন্ট রেজিস্টার অনুসরণের কথা থাকলেও, তিনি তা করেননি।

একেএম ফজলুর রহমান বলেন, দুই বছর আভ্যন্তরীণ অডিট হয়নি। তবে জুনের পরেই অডিট সম্পন্ন করা হবে। বিদ্যালয়ের সাময়িকীও প্রকাশ করা হবে শিগগিরই। পরিচয়পত্রের ব্যাপারে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যে পরিমাণ টাকা নেয়া হয়েছে তা দিয়ে ভাল মানের পরিচয়পত্র বানানো সম্ভব নয়। তাই পরিচয়পত্র বানানোর কাজটি আটকে আছে। তবে বিদ্যালয় খুললেই এর সমাধান হয়ে যাবে।

বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম, শিক্ষক কাউন্সিল গঠন না করা, সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীর প্রতি অবিচার, মুভমেন্ট রেজিস্টার অনুসরণ, জাতীয় দিবস উদযাপনে অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তিনি বলেন, কেউ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন বলেন, সদ্য বদলি হওয়া একজন শিক্ষকের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close